|
---|
লুতুব আলি, ৩১ জানুয়ারি : স্বাধীনতা ৭৫ মুক্তিযুদ্ধ ৫০ শিরোনামে একটি মহতী অনুষ্ঠান হল কলকাতার যাদবপুর ইউনিভার্সিটির ড. ত্রিগুনা সেন অডিটোরিয়ামে। অনুষ্ঠানে সকলকে সম্ভাষণ ও স্বাগত ভাষণ দেন বিশিষ্ট কবি বিধানেন্দু পুরকাইত। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বনামধন্য কথা সাহিত্যিক ও বাংলা অ্যাকাডেমীর সভাপতি সেলিনা হোসেন। উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশনায় ছিল রবীন্দ্রভারতী সোসাইটির শিল্পী বৃন্দ। ভারতবর্ষের স্বাধীনতা প্রাপ্তির ৭৫ তম বর্ষ উপলক্ষে এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ৫০ এর প্রেক্ষাপট নিয়ে মনোজ্ঞ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ভারতের লাখো লাখো বীর যোদ্ধাদের জীবনের বলিদান এর ফলে স্বাধীনতা আজ বিপন্ন হতে বসেছে বলে আলোচনা সভায় বক্তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেন। অন্যদিকে প্রতিবেশী বাঙালির তীর্থস্থান অনন্য বাংলাদেশ একটি ভাষাকে কেন্দ্র করে ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের এবং দু’লক্ষ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে মুক্তির স্বাদ পায় খান সেনাদের অত্যাচার আর রাজকারদের বেইমানের চরাচরে বিপন্ন বিপর্যস্ত একটি দেশের জন্য হয় পূর্ববর্তী নাম পূর্ব পাকিস্তানকে মুছে ফেলে, নতুন রূপে বাংলাদেশ এ ব্যাপারেও দীর্ঘ মনন শীল আলোচনা হয়। এদিনের অনুষ্ঠান চারটি পর্বে বিভক্ত ছিল। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট অধ্যাপিকা ও সুবক্তা ড. সুমিতা চক্রবর্তী, সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পঞ্চম উত্তরসূরী ও বিশিষ্ট কবি জয়দীপ চট্টোপাধ্যায়, কাজী নজরুল ইসলামের নাতনি বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী সোনালী কাজী, সাহিত্যিক সৈয়দ হাসমত জালাল, রবীন্দ্রভারতী সোসাইটির সম্পাদক সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায়, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলকাতা প্রেসক্লাবের সভাপতি স্নেহাশীষ সুর। কবি সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ থেকে কবি অধ্যাপিকা রোকসানা পারভীন সাথী, জীবনানন্দ পুরস্কার প্রাপ্ত কবি অর্ণব আশিক, কবি ও জাতীয় শিক্ষক মাহমুদা খানম, বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী সাধন দাস, বেতার ও দূরদর্শন খ্যাতু বাচিক শিল্পী জেসমিন বন্যা, ত্রিপুরা থেকে কবি ও সাংবাদিক সুতপা রায়, জহর দেবনাথ, পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিশিষ্ট কবি নৃপেন চক্রবর্তী, কবি নমিতা চৌধুরী, কবি রবিন বসু প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সোনালী কাজী অনুষ্ঠান ও শর্মিষ্ঠা নন্দীর পরিচালনায় বহরমপুরের মুক্তধারা, সুস্মিতা বিশ্বাসের পরিচালনায় সংগীতানুষ্ঠান ও নৃতা অনুষ্ঠান সকলের নজর কাড়ে। কবি বিধানেন্দু পুরকাইতের নেতৃত্বে সহযোগিতায় ড. এমদাদ হোসেন, আব্দুল কাইয়ুম, সোনালী কাজী, দীপন সেনগুপ্ত, তাজীমুর রহমান ও অন্যান্যদের সহযোগিতায় এবং স্বাধীনতা ৭৫ মুক্তিযুদ্ধ ৫০ উৎসব কমিটির প্রযোজনায় এই মহতী অনুষ্ঠান ভবিষ্যতের জন্য এক মাইল ফলক।