|
---|
নতুন গতি নিউজ ডেস্ক :
নীতিহীন বিজেপির স্বৈরাচারী এবং ধর্মীয় বিভাজন আগ্রাসনের নীতিতে গোটা দেশ ক্ষুব্ধ।যে হিন্দুত্বের দোহাই দিয়ে মোদি এবং বিজেপি ক্ষমতায় এসেছিল সেই হিন্দুত্ব কে যে দেশের মানুষ ভালোভাবে গ্রহণ করেননি তা বিজেপির এই তিন রাজ্যে হারের পরে তাদের বোঝা উচিত ছিল কিন্তু সে শিক্ষা হয়নি। ধর্মীয় বিভাজন এবং হিন্দুত্ববাদের ট্রাম কার্ড হিসেবে ভোটব্যাঙ্ক বাড়াতে এখন হাতিয়ার এনআরসি নাগরিকত্ব বিল। কিন্তু নাগরিকত্ব বিলের দেশ জোড়া প্রতিবাদ এখন মোদির পথের কাঁটা। বহু মানুষ স্বনামধন্য লেখক লেখিকা তারা তাদের সম্মান ফিরিয়ে ছেন পদক ফিরিয়েছেন
এর প্রতিবাদে । সেই তালিকায় সংযোজন হল ভূপেন হাজারিকার পরিবার।
নাগরিকত্ব বিল পাশের প্রতিবাদে মরণোত্তর ভারতরত্ন সম্মান গ্রহণ না করার ঘোষণা দিয়েছে প্রখ্যাত গায়ক ভূপেন হাজারিকার পরিবার। আসামের একটি দৈনিকে ভূপেন হাজারিকার ছেলে তেজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ভূপেনপুত্র বলেন, ‘আমি আসামের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে ওয়াকিফহাল। সুধাকণ্ঠ ভূপেন হাজারিকা সবসময়ই অসমের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং লড়াই আন্দোলন করেছেন। আমরা তাই এই সম্মান গ্রহণ করতে অস্বীকার করছি। পুত্র হিসেবে আমি জানাচ্ছি, ভারত সরকার তাকে যে মরণোত্তর সম্মান প্রদান করতে চাইছে আমরা তা গ্রহণ করব না।’
সম্প্রতি, ভূপেন হাজারিকাসহ সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি ও সমাজকর্মী নানাজি দেশমুখকে ভারতরত্ন সম্মানে সম্মানিত করার কথা জানিয়েছে দেশটির সরকার। প্রজাতন্ত্র দিবসেই সেই সম্মান তুলে দেওয়া হবে জানানো হয়েছে।
এরই মধ্যে নাগরিকত্ব বিলের প্রতিবাদে ভারত সরকারের দেওয়া মরণোত্তর ভারতরত্ন সম্মান গ্রহণ করবে না বলে জানাল ভূপেন হাজারিকার পরিবার।