ভিনজেলায় কোরেন্টাইনে কাটিয়ে বাড়ি ফিরলেন মোথাবাড়ি একদল শ্রমিক।

সংবাদদাতা : দীর্ঘ ১৯ দিন কোয়ারেন্টিন সেন্টারে থাকার পর কালিয়াচকের মোথাবাড়িতে এসে পৌঁছলেন একদল শ্রমিক। লকডাউনের সময় বর্ধমান থেকে বাড়ি ফেরার পথে বীরভূমের লোহাপুরে তাঁদের আটক করে কোয়ারেন্টিন সেন্টারে রাখা হয়। এতদিন বাদে বাড়ি ফিরে আসায় খুশির হাওয়া পরিবারের মধ্যে। তাঁদের বাঙ্গিটোলা গ্রামীণ হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বর্ধমানের অন্ডালের কাছে তাঁরা নির্মাণ শ্রমিকের কাজে ছিলেন। লকডাউন শুরু হলে গত ২৯ মার্চ তাঁরা মালদার উদ্দেশে আসছিলেন। ওই দিন মোরগ্রামে তাঁদের আটক করে পুলিশ। তাঁরা লকডাউনের পর কাজের জায়গা থেকে ফিরছিলেন। কিন্তু গাড়ি আটকে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় লোহাপুর স্বাস্থ্য সেন্টারে। সেখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর লোহাপুরে কোয়ারেন্টিন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। মালদার কালিয়াচক-‌২ নম্বর ব্লকের মোথবাড়ির ২৪ জন-‌সহ জেলার মোট ৩৫ জন শ্রমিক বীরভূমের কোয়ারেন্টিনে সেন্টারে ছিলেন। যদিও ১৪ দিন পর ছাড়ার কথা থাকলেও প্রশাসনিক ছাড়পত্র না মেলায় তাঁদের সেখানেই রাখা হয়। শুক্রবার কালিয়াচকের চৌরঙ্গি মোড়ে সরকারি বাসে করে ফেরেন তাঁরা। এদিক থেকে কালিয়াচক-‌২ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি টিঙ্কুর রহমান বিশ্বাস ছুটে গিয়ে তাঁদের গাড়িতে করে বাঙিটোলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে এসে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর তাঁদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিএমওএইচ কৌশিক মিস্ত্রি। জানা গেছে, শ্রমিকদের বাড়ি কারোর মুন্সিটোলা, টিটিহিপাড়া, কাহালা, ছোট মোহদিপুর, গীতামোড়, পটলডাঙ্গা এলকায়। শ্রমিকদের মধ্যে এনামূল হক, ন সেন্টারে। তারপর ছাড় পেলে আমরা মালদায় ফিরে আসি। সুস্থ রয়েছি আমরা । এখন পরিবারের পাশে থাকতে পেরে খুশি আমরা, আমরা লকডাউনে সামাজিক দূরত্ব মেনে রয়েছি ।’‌ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি টিঙ্কুর রহমান বিশ্বাস বলেন,‘‌শ্রমিকদের ফেরার খবর পেয়ে আমি নিজে ছুটে গিয়ে তাঁদের বাঙিটোলা হাসপাতালে আনার ব্যবস্থা করি। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর তাঁদের ছাড়া হয়েছে।’‌ সংশ্লিষ্ট ব্লকের বিডিও সঞ্জয় ঘিষিং বলেন,‘‌বীরভূমের কোয়ারেন্টিন সেন্টারে থাকার পর ছাড় পেয়ে একদল শ্রমিক মোথবাড়িতে এসে পৌঁছয়। তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর ছাড়া হয়। আপাতত তাঁদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’‌