বীরভূম জেলা কংগ্রেস সভাপতি পরিবর্তনের দাবি তুললেন দলেরই একাংশ |

নতুন গতি, আজিম শেখ, রামপুরহাট। ১৫ জুলাই জেলা সভাপতিকে হঠানোর দাবি উঠল জেলা কংগ্রেসের সভায়। এই মর্মে কলকাতায় সোমেন মিত্র এবং সংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্যের কাছে দরবার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দলের একটা অংশ।

    প্রসঙ্গত, বীরভূম জেলা কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে সৈয়দ সিরাজ জিম্মিকে সরিয়ে বসানো হয় সঞ্জয় অধিকারীকে। তারপর থেকেই কংগ্রেসে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়। দল ছাড়েন জিম্মি সাহেব। সভাপতি পরিবর্তনের পর জেলা কমিটি ভেঙে দেওয়া হলে বলে ঘোষণা করেন সঞ্জয়বাবু। তার এই ঘোষণার প্রতিবাদে রবিবার রামপুরহাট বাস স্ট্যান্ডে আই এন টি ইউ সির অফিসে বৈঠক করেন দলের একটা অংশ। সভায় পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সংখ্যালঘু সেলের চেয়ারম্যান, হাঁসন কেন্দ্রের বিধায়ক মিলটন রসিদ, আই এন টি ইউ সির বীরভূম জেলা সভাপতি মৃনালকান্তি বসু, জেলা কিষান কংগ্রেস চেয়ারম্যান সৈয়দ কাসাফদ্দোজা, জেলা হিউম্যান রাইটস সেলের সভাপতি রথীন সেন, যুব কংগ্রেস জেলা সভাপতি অর্ঘ দাস, জেলা সেবাদলের চেয়ারম্যান দেবু দত্ত, জেলা সাধারণ সম্পাদক অপূর্ব চৌধুরী, জেলা মহিলা কংগ্রেস সভাপতি অর্চনা অঙ্কুর এবং ব্লক সভাপতিরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় বীরভূম জেলায় কংগ্রেসের সংগঠনকে মজবুত করা এবং বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বক্তব্য রাখেন নেতারা।

    বিধায়ক মিলটন রসিদ জানান বর্তমান জেলা কংগ্রেস সভাপতি সঞ্জয় অধিকারী ১৬ জুন সিউড়িতে জেলা কংগ্রেসের মিটিংয়ে জেলা কমিটি ভেঙে দেওয়ার যে কথা বলেছিলেন, সেটা ঠিক নয়। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র এবং সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্যের সঙ্গে কথা অনুযায়ী বীরভূম জেলায় জেলা কংগ্রেস কমিটি ভাঙার কোনও নির্দেশ প্রদেশ কংগ্রেস থেকে দেওয়া হয়নি। যে যে পদে থেকে দলের সংগঠনের কাজ করছিলেন সে সেই পদে বহাল থেকে দলের কাজ করবেন।

    মৃণালবাবু বলেন, “দলকে মজবুত করতে গেলে জেলা সভাপতি পরিবর্তন করতে হবে। কারন এই সভাপতি থাকলে দল দুর্বল হয়ে পরবে দল। আমরা কয়েক দিনের মধ্যে প্রদেশ অফিসে গিয়ে আমাদের জেলা কমিটির দাবি সোমেন মিত্র এবং প্রদীপ ভট্টাচার্যের কাছে জানাব”।

    সঞ্জয় অধিকারী বলেন, “জেলা কমিটি বলে এখন কিছু নেই। কারন আমি সোমেন মিত্রের নির্দেশে জেলা কমিটি ভেঙে দিয়েছি। তাঁর নির্দেশে নতুন কমিটি গঠন হয়েছে। খুব শীঘ্রই নতুন কমিটির নাম ঘোষণা করা হবে। আর যারা সভা ডেকেছিলেন তাদের সভা ডাকার কোন এক্তিয়ার নেই”। সভাপতি পরিবর্তনের বিষয়ে সঞ্জয়বাবু বলেন, “কংগ্রেসকে শক্তিশালী করতে যে কেউ দাবি করতেই পারে। যেমন জিম্মি সাহেবকে পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছিলাম আমরা। দলকে মজবুত করতে প্রদেশ বা কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যে সিদ্ধান্ত নেবে তা মেনে নেব”।