বীরভূমের কাষ্ঠগড়া গ্রামে রেশন দুর্নীতি। ডিলারকে ঘিরে উত্তেজনা ঘটনাস্থলে পুলিশ ও গ্রামবাসী ।

আজিম শেখ, নতুুন গতি ,বীরভূম:-
বীরভূম জেলার রামপুরহাট থানার অন্তর্গত কাষ্ঠগড়া গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে চলছে রেশন ডিলারের নামে অভিযোগ। একাধিকবার জানানো হয়েছে ফুড ইন্সপেক্টরকে। কোন কাজ না হওয়ায় আন্দোলন শুরু করেন গ্রাম বাসীরা। বন্ধ করে রাখা হয় রেশন ডিলার।


    ডিলারের নাম কাজল হালদার। বাড়ি কাষ্ঠগড়া গ্রামেই, গ্রামবাসীর অভিযোগ প্রতিটি কার্ডে পরিমাণ মতো রেশন দেওয়া হচ্ছে না। বাইরে টাঙানো রয়েছে পুরোনো একটি চার্ট। যেখানে প্রতিটি রেশনে কার্ডের সাথে নেই নতুন কাডের ও চার্টের কোন মিল।


    2019 সালের ডিসেম্বর মাসে হাতে কার্ড পাওয়ার পরেও পাচ্ছেনা রেশন। আবার কোন ব্যক্তির মৃত্যুর খবর পাওয়া মাত্রই ক্যানসেল হচ্ছে তার কার্ড। কিন্তু হাতে কার্ড পেয়েও 4 থেকে 6 মাস পাচ্ছেনা রেশন।


    ডিলারের কাছে নেই কোনো কম্পিউটার কাটা ।দেওয়া হচ্ছে পাল্লা কাটাতে ওজন। যে সমস্ত রেশন দিতে পারছেনা তার নেই কোন স্লিপ। এই ঘটনা আমরা জনগণের মুখে একাধিকবার শোনার পরেও ডিলার কে বারবার জানিয়েছি । ডিলার আমাদের দেখে কোনো কথা বলতে রাজি নন।এমনকি ফুড ইন্সপেক্টর এর সঙ্গে কথা বলেছি।কিন্তু তাতে কোন কাজ হয়নি। গ্রামবাসীর ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় আমাদের। ঘটনাস্থলে রামপুরহাট থানা পুলিশ এসে উদ্ধার করে ডিলারকে। পুলিশ বি.ডি.ও ম্যাডাম ও ফুড ইন্সপেক্টর এর সঙ্গে কথা বলে গ্রামবাসীকে আশ্বাস দেন। তারা তাদের ন্যায্য রেশন পাবে এবং রেশন দোকান সকাল থেকে দুপুর 12 টা ও দুপুর দুটো থেকে রাত্রি ৮টা পর্যন্ত খোলা রাখতে হবে।


    গ্রামবাসীর বক্তব্য এটা সরকারি ত্রাণ। মানুষ এখন লকডাউনে পুরো পুরি ইনকামের পথ হারিয়ে ফেলেছে ।অনেক মানুষের অভাব অনটন দেখা দিয়েছে। কিন্তু এই ডিলাররা কি করে সরকারি গরিব মানুষের ত্রাণ কেটে নিতে পারে আমরা তো বেশি কিছু চাইনি ন্যায্য মূল্যের দোকান এটা আমরা ন্যায্যটাই চাই। পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী যখন বারবার বলছেন গরিবদের ত্রান। এই ত্রাণ যাতে প্রতিটি ব্যক্তি পায়। কিন্তু একাধি  ডিলাররা এরকম দুর্নীতির সঙ্গে  যুক্ত সরকার কি এদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেবে

     ডিলারকে আমরা বারবার বলেছি এর কোন রকম পরিবর্তন হবে না। আমরা চাই সরকারি ভাবে পদক্ষেপ নেওয়াহোক এই ডিলারের বিরুদ্ধে।