যোগীর রাজ্যে অনাহারে মৃত্যু হল সাধুর,ঘটনা ধামাচাপা দিতে মৃতদেহ ভাসিয়ে দেওয়া হল সরয়ু নদীতে: মুখে কুলুপ এঁটেছে প্রশাসন

অযোধ্যা: অযোধ্যায় মন ভেঙে দেওয়ার মতো এক চিত্র আমাদের সামনে এসেছে। সরকারের বড় বড় ভাষণ ও সমাজসেবীর দাতাগণ কিছু মানুষকে খাওয়ানো ও কিছু খাবার বিলি করে ফটো তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় দান এর কৃতিত্ব গ্রহণ করছে। অযোধ্যায় চৌধুরী চরণ সিং ঘাট নামক এক জায়গায় 80 বছরের এক বৃদ্ধ সাধুর অনাহারে মৃত্যু হয়েছে। সেখানকার স্থানীয় লোকদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে বৃদ্ধ সাধু অনেকদিন ধরে অসুখে ভুগছিলেন। তার অসুস্থতার খবর না স্থানীয় প্রশাসন নিয়েছিলেন না সেখানকার সমাজসেবী। অসুস্থতার কারণ, দীর্ঘদিন অনাহার ও তৃষ্ণার্থ বৃদ্ধ সাধুর অবশেষে মৃত্যু হয় আজ।

    স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায় উনি ছয়দিন অনাহারে দিন কাটিয়েছেন এবং অসুখে ভুগছিলেন। এই সাধুর বয়স 80 র কাছাকাছি হবে। এই এলাকা কোতোয়ালি থানার অধীনে আছে।স্থানীয় সাংবাদিক তোফেল এর কাছ থেকে জানা যাই যে উনার মৃতদেহটা মাটির ধুলায় লুটিয়ে পড়েছিল। কিন্তু হঠাৎ ই উনার দেহ কথাও উধাও হয়ে যায়। স্থানীয় লোকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে পুলিশকর্মীরা তার মৃত দেহকে সরযূ নদীতে ভাসিয়ে দেন। এটা এই কারণে করা হয় যাতে পুরো মামলা ধামাচাপা পড়ে যায় এবং কেউ সেটা জানতে না পারে । এটা করার দ্বিতীয় কারণ পোস্টমর্টেম থেকে বাঁচার। স্থানীয় পুলিশ কিছু প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা বলে মামলাটা ধামাচাপা দেবার চেষ্টা করেছেন।

    এই মামলায় ফাইজাবাদের সিও সিটির অরবিন্দ চৌরাসিয়া বলেছেন ওই এলাকা উনার আয়ত্তে আসেনা। আম আদমি পার্টি পুলিশে খবর দিলে পুলিশ জানায় তাদের কাছে আগে থেকে এ বিষয়ে খবর আছে আর এই ঘটনার তদন্ত চলছে। আর অন্যদিকে ওই সাধুর শিষ্য বলে দাবি করেন দিপাক গুপ্তা এবং এটাও বলেন যে সাধু এক মাস ধরে শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন। তার দেখাশোনা করার জন্য কেউ ছিলেন না। গত রাতের বৃষ্টির কারণে হয়তো তার মৃত্যু হয়েছে। যথারীতি পুলিশ এসে তাকে জেরা করে চলে যায়।

    এই ঘটনার রাত পর্যন্ত অপেক্ষার পর দুটো সাদা কাগজের নথিপত্র উদ্ধার হয়। সেখান থেকে সর্বপ্রথম বৃদ্ধ সাধুর নাম জানা যায়। মৃত বৃদ্ধ সাধুর নাম বিষ্ণুদাস ও বয়স 80 বছর। বিষ্ণুদাস এর শিষ্য বলা সুকদেব গিরির আঙ্গুলের ছাপ এই নথিপত্রে দেখা যায়। তার মানে উনি পড়তে লিখতে জানেন না কিন্তু সেই নথিপত্র সুন্দর হাতের লেখায় লিখিত। এই নথিপত্রে রামেশ্বর দাস ও সোমনাথের আঙ্গুলের ছাপ আছে। এই নথিপত্রে মৃত সাধুর মৃত্যুর কারণ স্বাভাবিক বলা হয়েছে এবং ওই সাধুকে দিনে 6 থেকে 7 বার খাবার দেওয়া হতো।

    ( নথিপত্রের খবর দেওয়া 5 নিউজ পোর্টাল এর সম্পাদক তোফেল ও স্কঁদ দাস ইন্ডিয়ান টাইমসে ভুল খবর দেওয়া ও সাধু সমাজকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা বলে কলঙ্কিত করা হয় এই দুইজনকে।)

    দ্বিতীয় নথিপত্রে যেটা পাওয়া গিয়েছে সেটা সাব ইন্সপেক্টর ইনচার্জের নামে লিখা। সেই নথিপত্রে সুকদেব গিরি, সোমনাথ, পরমেশ্বর দাস ও সীতারামন দ্বারা নথিপত্র তাদের আঙ্গুলের ছাপ এই নথিপত্রে আছে । নথিপত্রে জানানো হয়েছে যে সাধু বিষ্ণুদাসের কোন এক ঝুপড়িতে স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে ও তারা পোস্টমর্টেম করতে চাইনি । এবং সাধু তার লাশ রীতি ও রেওয়াজ মেনে নদীতে বিসর্জন করতে চেয়েছিলেন। দুটো নথিপত্রে না অফিশিয়াল স্ট্যাম্প আছে না অফিসার ইনচার্জের সই আছে।

     

    তথ্যসূত্র:

     https://janchowk.com/pahlapanna/an-aged-sadhu-died-due-to-hunger/

    অনুবাদ করেছেন সাংবাদিক আলাউল ইসলাম