|
---|
দেবজিৎ মুখার্জি: আবগারি মামলায় ইতিমধ্যে দিল্লির একাধিক মন্ত্রী জেলে। আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালকেও তলব করছে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি। জল্পনা ছড়িয়েছে, খুব শিগগির কেজরিকেও জেলে ভরবে সিবিআই-ইডি। এবার কেজরি নিজেই এই বিষয়ে বিস্ফোরক দাবি করলেন। তিনি বলেন, তাঁকে ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ঝাড়খণ্ডের হেমন্ত সোরেন, বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবদের গ্রেপ্তারের ছক কষেছে বিজেপি। উল্লেখ্য, চলতি মাসের গোড়ায় একই রকম আশঙ্কা প্রকাশ করেন তৃণমূল নেত্রী মমতাও।
কেজরির বক্তব্য, লোকসভা ভোটে জয় নিশ্চিত করতে শক্তিশালী বিরোধী নেতাদের বেছে বেছে জেলে ভরছে বিজেপি। তাঁকে ছাড়াও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, হেমন্ত সোরেন এবং তেজস্বী যাদবকে গ্রেপ্তারের ছক কষেছে গেরুয়া শিবির। আবগারি দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যে জেলে গিয়েছেন দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির অন্যতম শীর্ষ নেতা মণীশ সিসোদিয়া। একাধিকবার তলব করা হয়েছে কেজরিওয়ালকেও। মুখ্যমন্ত্রী গ্রেপ্তার হতে পারেন, এই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এর পরেও দলীয় কর্মীরা কেজরিওয়ালের নেতৃত্বে ভরসা রাখছেন।
আবগারি দুর্নীতি মামলায় আপ নেতা-মন্ত্রীদের গ্রেপ্তারিকে প্রথম থেকেই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে আসছেন কেজরি। তাঁর কথায়, “আমি ক্ষমতার জন্য লালায়িত নই। অতীতে ৪৯ দিনের মাথায় মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছেড়ে ছিলাম। এই ক্ষেত্রেও দিল্লির মানুষ যে রায় দেবেন, তা আমি মাথা পেতে নেব।” তবে জেলে যাওয়ার আশঙ্কা কাটছে না। ফলে দলীয় নেতা-কর্মীদের গতকাল একাধিক নির্দেশ দিয়েছেন আপ প্রধান।
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গে রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গ্রেপ্তার হওয়ার পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিজেপির লক্ষ্য হল একে একে সব বিরোধী নেতাদের জেলা পোরা। যাতে বিরোধীশূন্য দেশে বিনা বাধায় জিততে পারে বিজেপি।” কেজরির দাবি, ২৪-এর ভোটে মোদি বিরোধী হওয়ায় বুঝতে পেরেই ষড়যন্ত্র বাড়ছে। যদিও কেন্দ্রের দাবি, নিয়ম মেনেই আবগারি দুর্নীতি মামলার তদন্ত চলছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মীনাক্ষী লেখির মন্তব্য, “অন্যায় করলে শাস্তি পেতেই হবে।”