মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেত্রীর দলত্যাগ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী হোক জানান টুইটে

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: অতি অল্প সময়ের মধ্যে তালিকাটা ক্রমশই দীর্ঘ হচ্ছে। মুকুল রায় (Mukul Roy) বিজেপি ছাড়তেই একে একে দলত্যাগ করে ঘাসফুল শিবিরে ঝুঁকছেন দলের একাধিক নেতানেত্রী। এবার সেই তালিকায় নাম লেখালেন রাজ্য কিষাণ মোর্চার সম্পাদক তথা আইনজীবী দেবযানী দাশগুপ্ত। সোমবার সকালে তিনি টুইট করে গেরুয়া শিবিরের যাবতীয় পদে ইস্তফার কথা প্রকাশ করেন। সেইসঙ্গে এও লেখেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান। তাই দলবদলের সিদ্ধান্ত। দেবযানীর পদত্যাগ নিয়ে এখনও বিজেপির তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

    পেশায় আইনজীবী দেবযানী দাশগুপ্ত রাজ্যে বিজেপির (BJP) কিষাণ মোর্চার সম্পাদিকা পদে ছিলেন। মুকুল রায়ের সঙ্গে তাঁর বরাবরেরই ঘনিষ্ঠতা ছিল বলেই খবর। ফলে মুকুলের দলত্যাগের সিদ্ধান্তে প্রভাবিত হন তিনিও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee)পাশে থেকে লড়বেন বলে স্থির করেন। আর তাই টুইটে তিনি স্পষ্টই ‘দিদি’, ‘বাঙালি প্রধানমন্ত্রী’ – এসব শব্দবন্ধের উল্লেখ করেছেন। তবে তৃণমূলে (TMC) তাঁর যোগদান নিয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। মনে করা হচ্ছে, মুকুল রায়ের হাত ধরেই তৃণমূলে যোগদান করতে সক্ষম হবেন দেবযানী। তবে সেক্ষেত্রে তৃণমূল সুপ্রিমোর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।

    সূত্রের খবর, শিবির বদলের পরপরই বিজেপিতে নিজের ঘনিষ্ঠদের ফোন করেছিলেন মুকুল রায়। ফোন পেয়েছিলেন উত্তরবঙ্গের এক সাংসদ-সহ বিধায়ক এবং নেতারা। এমনকী এ নিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সঙ্গে একপ্রস্ত আলোচনা হয়েছে মুকুলের। এখন সেই তালিকা থেকে কতজন এবার তৃণমূলে যোগ দিতে ইচ্ছুক হন, সেদিকে অবশ্যই নজর থাকবে সবমহলের।

    অবশ্য ইতিমধ্যেই মুকুল রায়ের পথে হেঁটে বিজেপি ছেড়েছেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ রতন ঘোষ। আর সোমবার গেরুয়া শিবির ত্যাগ করলেন নেত্রী দেবযানী দাশগুপ্ত। শোনা যাচ্ছে, নোয়াপাড়ার পরাজিত বিধায়ক অর্জুন-জামাতা সুনীল সিংও তৃণমূলের পথে পা বাড়িয়েছেন। যদিও তাঁকে নিয়ে তৃণমূলের একাংশের আপত্তি রয়েছে বলেও খবর। এদিকে, এখনই বিধায়ক পদ নাও ছাড়তে পারেন মুকুল রায়। সূত্রের খবর, তৃণমূলের তরফে সবুজ সংকেত মিললে তবেই কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক পদে ইস্তফা দেবেন তিনি।