রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য দপ্তরের AC ভলবো বাসে রক্তদান শিবির বড়শুলে

অতনু ঘোষ, পূর্ব বর্ধমান: বড়শুল কিশোর সংঘ, বড়শুল নিউ সান ক্লাব ও বড়শুল কুমিরকোলা ইয়ং স্টার ক্লাবের যৌথ উদ্যোগে ও ব্যবস্থাপনায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ভাম্যমান ভলবো এসি বাসে দু’দিনব্যাপী স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির আয়োজন করে।

    আজ এই রক্তদান শিবিরের প্রথম দিন।
    আজ প্রথম দিনে পুরুষ 35 জন ও মহিলা 15 জন মিলে মোট 50 জন রক্তদাতা রক্ত দান করেন এবং আগামীও কাল 50 জন রক্ত রক্ত দান করবে বলে জানান উদ্যোক্তারা।

    প্রত্যেক রক্তদাতাকে উৎসাহিত করার জন্য প্রত্যেক রক্তদাতার হাতে একটি করে শংসাপত্র ও একটি করে গাছের চারা প্রদান করা হয় উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে।

    এদিন রক্তদাতাদের উৎসাহিত করতে এই মহতী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক নিশিত কুমার মালিক, বর্ধমান দু’নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি অরুণ গোলদার, বড়শুল 2 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুস্মিতা সরেন, উপপ্রধান রমেশ চন্দ্র সরকার সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ।

    এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সার্কেল ইন্সপেক্টর দেবনাথ সাধুখাঁ, শক্তিগড় থানার অফিসার ইন চার্জ কুনাল বিশ্বাস, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সৌভিক পান, সহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দগন।

    বড়শুল কিশোর সংঘের সম্পাদক পার্থ ঘোষ জানান আজকের রক্তদান শিবিরে মোট ৫০ জন সেচ্ছায় রক্তদান করেন। মহিলা রক্তদাতা ছিলেন ১৫ জন, পুরুষ রক্তদাতা ছিলেন ৩৫ জন। পার্থ বাবু জানান প্রতিবছর গরম কালে এবং বিশেষ করে এই করোনা পরিস্থিতিতে চারিদিকে একটা রক্তের সঙ্কট চলছে। সমাজের দায়িত্ব পালনই ক্লাব সংগঠনগুলির প্রধান উদ্দেশ্য হওয়াই উচিত বলে মনে করি। তাই এলাকার তিনটি ক্লাবের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগন আলোচনা করে দুদিন ব্যাপি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছি। আগামী কালও ৫০ জন মানুষ সেচ্ছায় রক্তদান করবেন প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে এই রক্তদান শিবির এর শুভ উদ্বোধন করেন বিধায়ক নিশ্চিত করার মালিক সহ উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ।

    আজকের এই রক্তদান শিবিরের অনুষ্ঠানে স্বস্তিপল্লীর একজন মেধাবী দুঃস্থ ছাত্রীকে একাদশ
    ক্লাসের পিওর সায়েন্স বিভাগের বই তুলে দেওয়া হয়।

    বড়শুল কিশোর সঙ্গে সম্পাদক পার্থ ঘোষ আরো জানান যে রক্তদাতাদের হাতে যে গাছের চারাগুলো দেয়া হলো সেগুলি পুরুলিয়া জেলা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে, গাছের চারার মধ্যে রয়েছে পলাশ, কুসুম মহুয়া,এই ধরনের গাছ। সাধারণত আমাদের জেলাতে এই গাছগুলি সচরাচর পাওয়া যায় না। তিনি আরো জানান যে ভবিষ্যতে বর্ধমান জেলায় আজ পুরুলিয়ায় পাঠানো হবে এবং পুরুলিয়া জেলার গাছ বর্ধমান এ এনে বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে সেগুলি বিলি করা হবে এবং এইভাবে পুরুলিয়া ও বর্ধমানের মধ্যে চারাগাছের একটি বিনিময় প্রথা শুরু করতে চলেছে বড়শুল কিশোর সংঘ।