BreakingNews: তৃণমূলের সহ সভাপতি ও ওয়ার্কিং কমিটিতে যশবন্ত, সিদ্ধান্তের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা শত্রুঘ্ন সিনহার

নতুন গতি ওয়েব ডেস্কঃ: অটল জমানার অর্থমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী যশবন্ত সিনহা তৃণমূলে যোগ দেওয়ার অব্যবহিত পরেই তৃণমূলের শীর্ষ সাংগঠনিক স্তরে জায়গা পেলেন। গত শনিবার সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও ডেরেক ও’ব্রায়েনের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন বিজেপি-র প্রাক্তনী যশবন্ত। সোমবার তাঁকে তৃণমূলের সহ-সভাপতি ও জাতীয় ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য পদ দিল তৃণমূল কংগ্রেস। এই সিদ্ধান্তের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন মোদির আরও এক বড় সমালোচক তথা বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা শত্রুঘ্ন সিনহা। এদিন তিনি টুইটারে লেখেন,সাধারণ মানুষের দাবি মেনে যশবন্ত সিনহা সক্রিয় রাজনীতিতে ফেরায় সকলে উচ্ছ্বসিত। এটা দারুণ কামব্যাক। উনি বাংলার বাঘিনী, বাংলার মেয়ে ও দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মানুষটির সঙ্গে গেলেন’। শত্রুঘ্ন সিনহার মুখেও সোমবার শোনা গিয়েছে ‘খেলা হবে’ স্লোগান। তিনি ‘খেলা হবে হ্যাশ ট্যাগ’ দিয়ে লিখেছেন, ‘আমি আশা করি উনি জয় পাবেন। যশবন্তজি, মমতাজি, আপনাদের দু’জনকেই শুভেচ্ছা’।

    তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানের পরে বিজেপি প্রাক্তনী সিনহা বলেছিলেন, “সক্রিয় দলীয় রাজনীতিতে তাকে ফিরে আসতে বাধ্য করার টিপিং পয়েন্ট “নন্দীগ্রামে” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর আক্রমণ ” শনিবার তৃণমূল ভবনে এক সংবাদ সম্মেলন সিনহা বলেছিলেন, “এই সরকার (বিজেপি) নির্বাচনে জয়লাভ করতে যে কোন কিছু করতে পারে। মমতাজির উপর হামলার পর আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে আমি তার সাথে কাজ করতে চাই।” তিনি আরও বলেছিলেন যে, দেশে গণতন্ত্র বিপন্ন এবং তৃণমূল যে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ভোটে জিতছে তা নিশ্চিত করা এখন সময়ের প্রয়োজন।

    প্রাক্তন বিজেপি নেতা এবং কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিনহা কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী সরকার গঠনের পরে বিজেপি থেকে সরে এসেছিলেন। মোদী সরকারের নীতি নিয়ে তিনি সমালোচনা করেছেন। যশবন্ত সিনহা, (83), ২০১৮ সালে বিজেপি ছাড়লেন তাঁর পুত্র জয়ন্ত সিনহা ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত মোদী সরকারের মন্ত্রী ছিলেন।
    এক পর্যায়ে অরুণ জেটলি মোদী সরকারের কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছার জন্য সিনহাকে কটূক্তি করে তাকে “৮০ বছর বয়সে চাকরির আবেদনকারী” বলে অভিহিত করেছিলেন। সিনহা তৎকালীন প্রতিটি প্ল্যাটফর্ম থেকে মোদী সরকারের অর্থনৈতিক নীতির সমালোচনা করে আসছিলেন।