বৃষ্টি কমতেই বীজআলুর দাম তিনগুন, বীজ আলু নিয়ে কালোবাজারি করছে মেমারি।

নূর আহমেদ,মেমারি : ৯ ডিসেম্বর ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম এর ফলে বৃষ্টিপাতে পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারী ১ নম্বর ব্লক ও ২ নম্বর ব্লকের আলুবীজ রোপন এর জমি জলের তলায়, হাজার হাজার কৃষকের হাসি টুকু কেড়ে নেওয়ার পর এবার তাঁদের কোমর ভেঙে দিচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। বৃষ্টির পর আলুবীজের দাম প্রায় তিনগুন হয়ে গেলো মেমারিতে। ভুক্তভোগী চাষীরা বলেন একেই বৃষ্টির ফলে আমাদের আলু চাষের জন্য রোপন করা বীজআলু নষ্ট হয়ে বিশাল ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছি এরউপর নতুন করে বীজ আলাু কিনতে গেলে ৩ গুন ৪ গুন দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। তাও সব পাওয়া যাচ্ছে না ব্যবসায়ীরা স্টক করে রেখে আরও দাম বাড়াবে। যে বীজ আলু আগে ১৫০০ টাকায় কিনেছিলাম সেটা এখন ,৩৫০০ থেকে ৪৫০০টাকা দামে কিনতে হচ্ছে সারারাত লাইন দেওয়ার পর। শুক্রবার সকাল থেকেই মেমারি শহরের বিভিন্ন এলাকার বীজআলু ব্যবসায়ীদের দোকানে চাষীদের লম্বা লাইন। যা শনিবারেও দেখা গেল ভিড় সামাল দিতে মোতায়েন সিভিক ভলেন্টিয়ার। প্রায় বেশির ভাগ জায়গাতে বীজআলুর দাম ২৫০০ টাকা থেকে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দাবি পাঞ্জাব এর ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়েছে। কিন্ত প্রশ্ন হচ্ছে বৃষ্টি থামার একদিনের মধ্যে কী করে পাঞ্জাবের বীজআলু মেমারি এসে পৌঁছে গেলো। পাঁচ দিন সময় লাগে পাজ্ঞাব থেকে মেমারিতে আসতে। এখানেই চাষীদের অভিযোগ আলুর কালো বাজারী করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।

    এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন বীজ আলু পাওয়া যাচ্ছে না তাই বিপুল চাহিদার জন্য স্বাভাবিক ভাবেই দাম বেড়েছে। পাঞ্জাবের ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু অতিরিক্ত দামের বৃদ্ধি কালোবাজারীর ব্যপারে মুখে কুলুপ এঁটেছেন।

    আজ কৃষকের ঘরে হাহা কার । কি হবে? কৃষকরা এই ব্যপক ক্ষতির জন্য রাজ্য সরকারের উপর ভরসা করছেন। কিন্তু দুই সরকার আজ কৃষকের পাশে নেই। আবার কিছু কৃষক বলেন রাজ্য সরকার ও প্রশাসন পাশে না থাকলে আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কিছু উপায় নেই। আলু বীজের কালো বাজারী ও তিন গুন আলু বীজের চাষিদের কাছ থেকে দাম নেওয়া প্রশাসনের বিরুদ্ধে কৃষকরা ব‍্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

    এ ব্যাপারে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও শতরূপা দাস  প্রতিনিধিদের বললেন আমরা এই ঘটনা শুনতে পাচ্ছি, সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক দপ্তরে এ ব্যাপারে জানানো হয়েছে। প্রশাসনিকভাবে অতি দ্রুততার সাথে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করব। চাষীদের ক্ষতি যাতে না হয় অবশ্যই দেখতে হবে। এর আগে ও ২০২১ সালে আলু চাষ করতে গিয়ে চাষীদের ঠিক এই একই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। এই ক্ষতি চাষিরা কোনভাবেই আর সহ্য করতে পারছেন না।