|
---|
আতাউল্লাহ আহমেদ, ফারাক্কা : দীর্ঘ ৬ মাস আগে থেকে কাজ শুরু হলেও বর্তমান পর্যন্ত কাজ তেমন এগোয়নি। একেবারে মন্থর গতিতে কাজ চলছে বলে পুরো কাজ সম্পন্ন হতে আর যে কতদিন মানুষকে এভাবে কষ্টসাধন করতে হবে তার নিশ্চয়তা নেই বললেই চলে। একজন নিয়মিত যাতায়াতকারীর সাক্ষাৎকারে উনি বললেন যে আগামী কাল সকাল ৬ ঘটিকায় বাসে ফারাক্কায় চেপে উনি কালিয়াচক পৌঁছান দুপুর ১২ ঘটিকায়।অর্থাৎ ৩০মিনিটের জায়গায় ৬ ঘন্টা। মুর্শিদাবাদ জেলার উত্তরে ও মালদা জেলার দক্ষিণে দীর্ঘ প্রায় ৩ কিমি জায়গা জুড়ে ফারাক্কা অবস্থান করেছে ফারাক্কা ব্রিজ। ভারতের একমাত্র এই ব্রিজই রেলপথ ও সড়কপথ একত্রে অবস্থানরত। উত্তরবঙ্গের বাসিন্দাদের দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র ভরসা। এই ব্রিজে এককালীন দিনে ৩০০০ গাড়ির যাতায়াত হতো, কিন্তু এই ব্রিজের অবস্থা আশংকাজনক ভেবে মেরামতির কাজ চলছে বলে ব্রিজের এক লাইন বন্ধ রেখে অপর অর্ধেক রাস্তা খোলা রাখায় গাড়ির যাতায়াত খুবই মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে বর্তমানে। দিনে হয়তোবা 500 গাড়ির যাতায়াত হচ্ছে বর্তমানে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো উত্তরবঙ্গের মানুষদের জন্যে সড়কপথ ছাড়া আর কোনও সম্বল নেই, কারণ লোকাল ট্রেনের সংখ্যাও কম হওয়ায় ফলত কালিয়াচক এর অধিকাংশ মানুষদের ব্যবসা ভাটা ধরেছে। মালগাড়ি ব্রিজে যাতায়াত বন্ধ হওয়ায় কাঁচামালের যোগান করতে ভারী মুশকিলে পড়তে হচ্ছে। পাথর,বালির দাম এখন অগ্নিমূল্যে পৌঁছিয়েছে মূলত বিহার হয়ে গাড়ির যাতায়াত করায় তেলের খরচ অনেক। মুর্শিদাবাদ জেলার উত্তরে বসবাসকারীগণ বিশেষ করে জাঙ্গিপুর, ধূলিয়ান, নিমতিতা, নিউ ফারাক্কা এইসব লোকেদের পড়াশুনা বা ডাক্তারখানায় যাওয়ার জন্যে মালদা মেডিক্যাল কলেজ একমাত্র ভরসা। কিন্তু এইভাবে পড়ুয়া থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী প্রায় সবাই ঐথজলে। হয়তোবা আধুনিক পদ্ধতিতে কাজ করলে এবং মেরামতির কর্মীর সংখ্যা বাড়ালে হয়তোবা এই গ্লানির হাত থেকে কিছুটা হলেও নিস্তার পাওয়া যেতো।