অযোধ্যার রাম জন্মভূমি বৌদ্ধ স্থান,ওই জমি UNESCO-কে দিতে হবে’ দাবি নিয়ে অনশন বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক:ফের খবরের শিরোনামে অযোধ্যার রাম জন্মভূমি।এই সংস্থাকে  বৌদ্ধ ধর্মীয়স্থান  হিসেবে দাবি করলেন একদল বৌদ্ধ সন্ন্যাসী।শুধু তাই নয়, সেখানে খনন কার্য চালানোর জন্য গোটা এলাকা UNESCO-র হাতে তুলে দেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা। এই সমস্ত দাবি নিয়ে মঙ্গলবার আমরণ অনশনে বসেছিলেন একদল বৌদ্ধ সন্ন্যাসী।আন্দোলনকারীদের দাবি, রাম জন্মভূমির জমি সমান করার সময় সেখান থেকে বেশ কিছু বৌদ্ধ শিল্পকর্ম উদ্ধার করা হয়েছে।যা থেকে এটা স্পষ্ট যে, ওই এলাকা একটি বৌদ্ধ ধর্মসংস্থান।যে সমস্ত শিল্পকর্ম উদ্ধার করা হয়েছে সেগুলি জনমসক্ষে আনার দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা।যদিও দাবি খতিয়ে দেখার আশ্বাস মেলার পরে অনশন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

    অযোধ্যায় বর্তমানে জোর কদমে মন্দির নির্মাণের কাজ চলছে। অবিলম্বে এই কাজ বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন অনশনরত বৌদ্ধ ভিক্ষুরা।তাঁদের বক্তব্য, এই স্থানের অতীত ইতিহাস জানতে সেখানে খননকাজ প্রয়োজন।যে কারণে খননকার্য চালানোর জন্য রাম জন্মভূমিকে রাষ্ট্রপুঞ্জের বিশেষ সংস্থা UNESCO-র হাতে তুলে দেওয়া হোক।তারাই গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখুক।

    বৌদ্ধদের একাংশ মনে করেন,অযোধ্যার প্রাচীন নাম ছিল সকেত। এই জনপদ ছিল প্রাচীনকালের অন্যতম প্রসিদ্ধ একটি বৌদ্ধ স্থান।সেই স্বীকৃতি-সহ নিজেদের নানা দাবি নিয়ে অযোধ্যার জেলা শাসকের দফতরের বাইরে সকেত মুক্তি আন্দোলন এবং অখিল ভারতীয় আজাদ বৌদ্ধ ধর্ম সেনার ছাতার তলায় অনশনে বসেছেন কয়েকজন বৌদ্ধ সন্ন্যাসী।

    এই আন্দোলন প্রসঙ্গে আজাদ বৌদ্ধ ধর্ম সেনার এক সদস্য বলেছেন, অযোধ্যা প্রশাসনের মাধ্যমে আমরা রাষ্ট্রপতি, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং অন্য সরকারি সংস্থাগুলির কাছে স্মারকলিপি পাঠিয়েছি।এক মাসের মধ্যে রাম মন্দির নির্মাণ কাজ বন্ধ করে খনন কাজ চালানোর জন্য ওই জমি ইউনেস্কোর হাতে তুলে না দেওয়া হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।

    ফৈজাবাদ সিটি ম্যাজিস্ট্রেট এসপি সিং বলেছেন,’বৌদ্ধ নেতাদের স্মারকলিপি আমরা পেয়েছি এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে তা পৌঁছে দেওয়া হবে।আমাদের আশ্বাস পাওয়ার পরে বৌদ্ধ নেতারা তাঁদের আমরণ অনশন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।’

    এদিকে, অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।অযোধ্যার (Ayodhya) রাম মন্দির কেমন হবে, তিন দশক আগে তার নকশা করে রেখেছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগে ১২৫ ফুট উচ্চতার কথা ভাবা হলেও বর্তমানে তা বাড়িয়ে ১৬০ ফুট করার প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়েছে।মন্দিরের প্রথম তলা ১৮ ফুট উঁচু এবং দ্বিতীয় তলের উচ্চতা ১৫ ফুট ৯ ইঞ্চির হবে।এর প্রথম তলায় থাকবেন রামলালা বিরাজমানের মূর্তি। দ্বিতীয় তলায় রাম দরবার গড়া হবে, যেখানে রাম-লক্ষ্মণ-সীতার মূর্তি স্থাপন করা হবে।

    ২০১৯ সালের নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ রায় দেয়, অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতেই রামমন্দির হবে। মসজিদ গড়ার জন্য বিকল্প ৫ একর জমি দেওয়া হবে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে।