কংগ্রেসের একমাত্র বিধায়ক বায়রন বিশ্বাসের তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান

নিজস্ব সংবাদদাতা :তৃণমূল কংগ্রেসের নব জোয়ার কর্মসূচির 33 তম দিনে ঘাটালে তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জির হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন বায়রন বিশ্বাস। সোমবার বেলা 3টা নাগাদ ঘাটাল অভিষেক ব্যানার্জি তাঁকে উত্তরীয় পরিয়ে ও তার হাতে দলের পতাকা তুলে দিয়ে তৃণমূল পরিবারে স্বাগত জানান। এই ঘটনা ঘিরে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। তাঁর জয়ের পর বাম-কংগ্রেসের জোট থেকে উঠে এসেছিল ‘সাগরদিঘি মডেল’-এর কথা। ভেঙে চুরমার ‘সাগরদিঘি মডেল’। বায়রন বিশ্বাস বলেন, “কংগ্রেসে থেকে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছিলাম না।সাগরদিঘির সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করেই এই সিদ্ধান্ত।’ তাঁর কথায়, ‘‘আমি আসলে তৃণমূলেরই লোক আমি। তাদের সমর্থন না পেলে আমি এত বেশি ভোটে জিততে পারতাম না।’’ অভিষেকের পাশে বসে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘‘বরাবরই তৃণমূল করে আসছি। টিকিট পাইনি বলে কংগ্রেসে যাই।’ ‘‘আমি কংগ্রেসের ভোটে জিতিনি। আমি আগে থেকে জনগণের কাজ করেছি। তাঁদের ভোটে জিতেছি। আবার ভোট হলে আবার জিতে প্রমাণ করব যে এটা কংগ্রেসের ভোটে জয় নয়।’’

    বাইরন বিশ্বাসকে পাশে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, ”আমি দল ভাঙাইনি। বাইরন নিজে এসে নবজোয়ার মঞ্চে এই ঘাটালে তৃণমূলের পতাকা হাতে নিয়েছে। আমি দল ভাঙাতে চাইলে সাগরদিঘিতে দাঁড়িয়েই বাইরন বিশ্বাসকে যোগ দেওয়াতাম। কিন্তু আমি সেটা করিনি।”

    অভিষেক জানান, ”সাগরদিঘিতে জয়ের পর বহুবারই আমার সঙ্গে বাইরনের দেখা হয়েছে। আমি যেহেতু জনসংযোগ যাত্রায় রয়েছে। সেখানেও বিভিন্ন ক্যাম্পে আমার সঙ্গে ওঁর দেখা হয়েছে। কথা হয়েছে।” একইসঙ্গে তিনি বলেন, ”সাগরদিঘির রামধনু জোট যে অন্তঃসারশূন্য তা তো বোঝাই গিয়েছিল। এটা তো হওয়ার ছিল।”

     

    উল্লেখ্য, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সাগরদিঘি আসনে উপনির্বাচন হয়। এর পর গত ২ মার্চ সাগরদিঘির ফল ঘোষণা হয়। ওই আসনে বাম কংগ্রেসের জোট প্রার্থী হিসেবে বায়রন বিশ্বাস বিপুল পরিমাণ ভোটে হারিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসকে । জেতার পর বলেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। তাঁকে নিয়ে উচ্ছসিত হয়েছিলেন অধীর থেকে সুজন সকলেই। কিন্তু উচ্ছাস টিকলো না।২০২১ সালে বিধানসভায় শূন্য হয়ে যাওয়া কংগ্রেস বাইরনের হাত ধরে আবার বিধানসভায় প্রবেশ করেছিল। কিন্তু সেই বাইরনও যোগ দিলেন তৃণমূলে। এবং বিধানসভায় আবার ‘শূন্য’ কংগ্রেস।