|
---|
নিজস্ব প্রতিবেদক:- গতকাল দিনভর বীরভূমের নানা জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই, ইডি। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আবদুল কেরিম খান এবং সিউড়িতে পাথর ব্যবসায়ী টুলু মণ্ডলের বাড়িতে হানা দেয় অফিসাররা। এই দুই জনই অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বলে জানা গিয়েছে। গরু পাচার কাণ্ডের সঙ্গে এই তল্লাশি অভিযানের যোগ ছিল বলে জানা গিয়েছে। এই তল্লাশি অভিযানে মোট ১৭ লাখ টাকা উদ্ধার হয়েছে। তাছাড়া পেন ড্রাইভ, হার্ড ডিস্ক বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা।সিবিআই-এর এক শীর্ষ আধিকারিক জানান, বীরভূম, কলকাতা মিলিয়ে মোট ১৩টি জায়গায় গতকাল তল্লাশি অভিযান চলেছিল। আধিকারিক বলেন, ‘তল্লাশি অভিযানের সময় ১০টি মোবাইল ফোন, পেন ড্রাইভ, হার্ড ডিস্ক, বেশ কয়েকটি অপরাধমূলক নথি এবং লকারের চাবি সহ প্রায় ১৭ লাখ টাকা উদ্ধার করেছে। তদন্ত চলছে।’সিবিআই সূত্রে খবর, সিউড়ি সাজানো পল্লী এবং পাইকপাড়াতে দুটি বাড়িতে তালা ভেঙে বাড়ির ভিতর প্রবেশ করা হয়। আগেই কয়লা পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতার দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। ইলামবাজার–সহ বীরভূমের নানা জায়গায় সায়গলের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিস মিলেছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সায়গলকে জেরা করেই এই দুটি নাম উঠে আসে বলে মনে করা হচ্ছে। এরই মাঝে এবার অনুব্রতর রক্তচাপ বাড়িয়ে গতকাল একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় সিবিআই।যদিও সিবিআই জেরা নিয়ে মুখ খুলে অনুব্রত দাবি করেছিলেন তিনি চুরি করেননি। তবে অনুব্রত মণ্ডলের ধৃত দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের সম্পত্তির পরিমাণ দেখে বিস্মিত সকলে। সায়গলের প্রায় ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। একজন পুলিশ কনস্টেবলের এত পরিমাণ সম্পত্তি থাকায় তা আয় বহির্ভূত বলেই মনে করছেন সিবিআই আধিকারিকরা। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, সায়গলের সেভাবে পৈত্রিক সম্পত্তি ছিল না। পুলিশ কনস্টেবলে চাকরি পাওয়ার পর অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী হয়েছিলেন সায়গল। তারপর থেকেই তার সম্পত্তি ব্যাপকভাবে বেড়েছে। স্কুল-শিক্ষকের চাকরি পেয়েছেন তার স্ত্রী। শুধুমাত্র নিউটাউনে তিনটি ফ্ল্যাটই নয়, বোলপুর-সহ একাধিক জায়গায় তার বাড়ি রয়েছে। এই সমস্ত ফ্ল্যাটের পাশাপাশি একাধিক ডাম্পার, পাথর ভাঙার মেশিন, পেট্রল পাম্প এবং ২০০ বিঘা জমি রয়েছে সায়গলের। এই সমস্ত সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ১০০ কোটি টাকা! আর এবার অনুব্রত ঘনিষ্ঠ অন্য অনেকের উপর নজর তদন্তকারীদের।