নার্সিংহোমে শিশু মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা ও সাংবাদিককে হেনস্থা,ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী

মেহবুব আলম, বাসন্তীঃ নার্সিংহোমে একটি শিশুর মৃত্যুকে ঘিরে মুহূর্তের মধ্যেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসে বাসন্তী থানার পুলিশ বাহিনী। আবারও ডাক্তারদের অবহেলার কারণে শিশু মৃত্যুর ঘটনা। দক্ষিণ 24 পরগনা জেলার কোণে কোণে বেআইনিভাবে লোক ঠকানো ব্যবসার ফাঁদে কাজ করে চলেছে কিছু অসাধু লোকজন। টনক নড়েনি রাজ্য সরকারের? এরকম বহু বেআইনি ব্যাঙের ছাতার মতো রাজ্যে গজিয়ে আছে নার্সিংহোম। অনেকে ডাক্তারি পাস তো দূরের কথা মাধ্যমিক পাশ পর্যন্ত করেনি।

    কিন্তু লোকজনকে ঠকিয়ে তাদের কারবারের চালিয়ে আসছেন।ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার বাসন্তী থানার সোনাখালি বাজার এলাকায়। ঝড়খালির বাসিন্দা পেশায় দিনমজুর গোপাল চন্দ্র হালদার এর স্ত্রী অপর্না হালদার সন্তানসম্ভবা হওয়ায় তাকে সোনাখালীর বাজার এলাকার মসিবুরের নার্সিংহোমে ভর্তি করে।

    সেখানেই একটি সন্তানের জন্ম দেন অপর্ণা, কিন্তু বাচ্চাটি একদিন পর মারা যাওয়ায় শিশুটির বাবা ডাক্তারবাবুকে বলে যে আমার ছেলের হাত পা ঠান্ডা হয়ে গেছে, আপনারা একটু দেখুন। কিন্তু তাতেও ডাক্তার কোন কর্ণপাত করেনি সেটা অনেক পরে এসে বলে তোমার বাচ্চা মারা গিয়েছে। শিশুটির বাবা কারণ জানতে চাওয়ায় ডাক্তার তখন মেজাজ হারিয়ে বাচ্চাটির বাবাকে মারধর করে এবং লোকজনকে দিয়েও মারধোর করে নার্সিংহোম থেকে বের করে দেয়।

    এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই মুহূর্তের মধ্যে সেখানে এলাকার লোকজন জড়ো হতে থাকে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। এই ঘটনার খবর বাসন্তী থানায় পৌঁছালে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শিশুর বাবা গোপাল হালদার বলেন বিনা চিকিৎসায় আমার বাচ্চাটিকে মেরে ফেলেছে এরা আমি কারণ জানতে চাওয়ায় আমাকেও মারধর করেছে ডাক্তার বাবু নিজে, মারার পাশাপাশি লোকজনকে দিয়েও আমাকে মেরে নার্সিংহোম থেকে বের করে দিয়েছে। আমি এদের কঠিন শাস্তি চাই।

    স্থানীয় বাসিন্দা আনসার মোল্লা বলেন আপনারা সবকিছু ভেরিফাই করে দেখেন এ ডাক্তার এমবিবিএস পাস তো দূরের কথা মাধ্যমিক পর্যন্ত পার করেনি, অথচ একটা বড় ব্যবসা ফেঁদে চলেছে। প্রায় এখানেই এরকম কাজ কারবার চালিয়ে আসছে, ঘটনার তদন্ত করে কঠিন শাস্তির দাবি করেছেন। এই ঘটনার খবর কভার করতে যাওয়া সাংবাদিকদেরও হেনস্থা করে ডাক্তার মুসিবুর ও তার লোকজন। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে সাংবাদিকদের। পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বাসন্তী থানার পুলিশ। শিশুটির বাবা বাসন্তী থানা ডাক্তার মসিবুরের নামে অভিযোগ দায়ের করেছে। এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।