|
---|
নাজিবুল্লাহ,হাড়োয়াঃ গত ৯ই সেপ্টেমবর থেকে রাজ্যজুড়ে ডিজিটাল রেশন কার্ডের নাম নথিভুক্ত করনের প্রক্রিয়া চলছিল রাজ্যের প্রতিটি বিডিও অফিসের খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তরের মাধ্যমে। ডিজিটাল রেশন কার্ডের নাম নথিভুক্ত করনের প্রথম দিন থেকেই বিডিও অফিসে মানুষের ভিড় দেখা যায় চোখে পড়ার মতো, সকাল থেকে দুপুর, দুপুর থেকে বিকাল সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের লম্বা লাইন দেখতে পাওয়া যায়. চলতি মাসের ২৭সেপ্টেম্বর শুক্রবার ছিল এই নাম নথিভুক্ত করনের শেষ দিন, পরবর্তী প্রক্রিয়া পূজোর পর ৫নভেম্বর থেকে পুনরায় কাজ শুরু হবে বলে ঘোষণা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি, কিন্তু তারপরেও শুক্রবার হাড়োয়া বিডিও অফিসে খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তরের সামনে লম্বা লাইন দেখতে পাওয়া যায়. কিন্তু কেন এত লম্বা লাইন, রাজ্যে এনআরসি আতঙ্কে ভোটার আই কার্ড, আধার কার্ড, খাদ্য সুরক্ষা কার্ড সহ একাধিক পরিচয় পত্র নির্ভুল করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে সাধারন মানুষ যার কারণে প্রতিটি ক্ষেত্রেই লম্বা লাইন লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
কোন মানুষ যাতে খাদ্য সুরক্ষার আওতার বাইরে না যায় তার জন্য বদ্ধপরিকর হাড়োয়া খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তরের আধিকারিক বাইতুল ইসলাম, ইতিমধ্যেই মাত্র ১৬ দিনের মধ্যে আড়াই লক্ষের অধিক নতুন আবেদনকারীদের নাম নথিভুক্তকরণ সমাপ্ত হয়েছে বলেও তিনি জানান। কাজ দ্রুত ও নির্ভুলভাবে সমাধান করার জন্য নিয়োগ করা হয়েছে একাধিক কম্পিউটার অপারেটর, লাইন লম্বা হলেও দ্রুত কাগজ জমা নিয়ে এন্ট্রি করে দেওয়া হচ্ছে । যে সমস্ত গ্রাহকদের কার্ড আছে কিন্তু নাম ভুল তাদেরও নামের ভুল সংশোধন সমাধানের কাজ দ্রুত করা হবে বলেও তিনি আশ্বাস দেন।লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা চল্লিশের কোঠায় বয়স এক মহিলার কোথায় দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে কষ্ট হলেও দিনের শেষে কাজটি সঠিকভাবে সম্পন্ন হলে বড় প্রাপ্তি। গোপালপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে আসা আব্দুর রহিম নামের এক যুবকেরর বক্তব্য ফর্ম জমা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নতুন কার্ডের জন্য নাম এন্ট্রি করে দেওয়া হচ্ছে ফলে কার্ড না হওয়ার আর কোন সংশয় থাকল না এটি খুবই ভালো উদ্যোগ।
এবং আমি ধন্যবাদ জানাবো খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তর আধিকারিক বায়তুল ইসলাম সহ সমস্ত স্টাফদের যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে এই কাজ সম্পন্ন করছেন।