|
---|
নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: বুধবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘোষণা করেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
নির্বাচিত হয়েই কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন
“কিছু বলতে গেলেই দুর্বিষহ নাভিশ্বাস, পেগাসাস পেগাসাস। পিকে, অভিষেক সবাই ভুক্তভোগী। ওদের ফোন ট্যাপ হয়েছে। এটা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। আমরা চাই এর বিচার হোক। পেগাসাসের বিরুদ্ধে মানুষ লড়বে। বিজেপির দালাল আছে কয়েকজন। তিনি তো সবচেয়ে বড় পেগাসাস।
দেশের নিরাপত্তার জন্য এসব প্রশ্ন তুলি না আমরা। তবে আমরা আজ বলতে বাধ্য হচ্ছি। ভারতের সঙ্গে নেপালের, বাংলাদেশের সম্পর্ক কেমন? কেন এমন সম্পর্ক? এগুলো নিয়ে প্রশ্ন তোলা দরকার। তবে বলবার কেউ নেই। দেশে অরাজকতা চলছে।
বাংলার তৃণমূল কর্মীদের ধন্যবাদ। তাঁরা আমাদের সঙ্গে আছেন। আপনারা আমাদের শক্তি। আমাদের আপনারা কথা দিন আমার সঙ্গে থাকবেন। তাহলে আমি ভারতজুড়ে কাজ করতে পারব। আমার লক্ষ্য বিজেপিকে দেশে থেকে হটানো। দেশে খুব কম দলই আছে যারা আমাদের মতো সংগ্রাম করে উঠে এসছে। আমরা কিন্তু লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে উঠে এসেছি।
তারা ১০০ দিনের কাজের টাকাও কমিয়ে দিয়েছে। সাধারণ মানুষের কথা এই সরকার ভাবে না । গরিব মানুষের কথা ভাবে না। কেউ প্রতিবাদ করে না বলেই বিজেপির বাড়বাড়ন্ত। আমি প্রতিবাদ চাই। বড় রকমের প্রতিবাদ। নোটবন্দী থেকে ব্যাঙ্কবন্দী, পেগাসাস থেকে আলাদত বন্দী সবটাই বন্ধ করে দিয়েছে এই কেন্দ্রীয় সরকার। তাই আজ আমি চাইছি উত্তাল ছাত্র যৌবন। প্রতিবাদ করতেই হবে। খুব খারাপ দিন আসছে। কখনও পুলওয়ামা করছে তারপর ভোট পার করে দিচ্ছে। আসল রহস্য একদিন না একদিন সামনে আসবেই।
মার্চ পর্যন্ত সাংগঠনিক নির্বাচনের সময় ছিল, কিন্তু ফেব্রুয়ারিতেই করে দিলাম। বাংলার ছেলেমেয়েদের হাতে অনেক কাজ এখন। নিজেকে বিশ্বাস রাখতে হবে। তৃণমূল করতে গেলে যে রাজ্যে যারা বিশিষ্ট, ভারত সম্পর্কে জানা দরকার, রাজ্য সম্পর্কেও জানতে হবে। তৃণমূল সম্পর্কেও জানতে হবে। আমি প্রত্যেকটা ঘটনা বইয়ে লিপিবদ্ধ করে রেখেছি। অনেকেই এখনকার বামেদের অত্যাচারের কথা জানেন না। এখন ত্রিপুরায় অত্যাচার হচ্ছে, জেলে ঢোকানো হচ্ছে, গাড়ি পোড়ানো হচ্ছে।”