|
---|
শরিফুল ইসলাম,শান্তিপুর:“বিদ্যালয়ের শিক্ষা সম্পূর্ণ হবার পর উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী পড়ুয়ারা মহাবিদ্যালয় আসেন। সদ্য বিদ্যালয়ের অঙ্গন পাড় করে মহাবিদ্যালয়ে আসার সাথে সাথে তাঁদের বরণ করে নেন মহাবিদ্যালয়ের পাঠরত পড়ুয়ারা। সমাগত সদ্য নবীন আর অপেক্ষাকৃত অগ্রজ –উভয়ের সম্মিলনে পারস্পরিক সম্পর্কের বন্ধন সুদৃঢ় হয়।এই ভাবেই মহাবিদ্যালয়ের নবীনবরণ কার্যত একটা উৎসবে পরিণত হয়। উৎসবের এই মুহূর্ত মহাবিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত সকলের জীবনেই স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। এখন সেলফির যুগ। আপনাদের স্মৃতি পটে ভেঁসে উঠে আগামী দিন জীবনকে ধন্য ও আনন্দিত করতে প্রত্যেকেই আজকের এই বিশেষ মুহূর্ত টিকে ধরে রাখবেন নিশ্চিত।”
আজ, সোমবার, শান্তিপুর কলেজ -এর নবীন বরণ -২০১৯, উদ্বোধন অনুষ্ঠানে
নবাগত, পাঠরত ও প্রাক্তনী শত শত ছাত্র-ছাত্রী, বিশিষ্ট অধ্যাপক ও কলেজ শিক্ষা-কর্মীদের মধ্যে দাঁড়িয়ে শান্তিপুর কলেজ নবীন বরণ উৎসবের সূচনা করে ঠিক এই ভাবে বক্তব্য শুরু করেন
শান্তিপুরের বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য।
উপস্থিত ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি প্রত্যয়ী বিধায়ক অরিন্দম বাবু আরো বলেন, “অত্যন্ত আনন্দ ও গর্বের বিষয় অতীতের মতনই বর্তমানে শান্তিপুর কলেজ সকলের সম্মিলনে সংহত ও ঐক্যবদ্ধ। এই মহাবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় পন্ডিত লক্ষীকান্ত মৈত্র এবং সংখ্যালঘু মহীয়সী এক নারীর মতন যাঁরা সেই সময়ে এগিয়ে এসেছিলেন তাঁদের জানতে হবে। তাঁরা শান্তিপুরের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে যে স্বপ্ন দেখে ছিলেন সেই স্বপ্ন আপনাদের পূরণ করতে হবে। আপনারা আপনাদের ভিতরের সেরা টুকু উজাড় করে নিজেদের সমৃদ্ধ করার সঙ্গে সঙ্গে পরিবার, সমাজ এবং এই কলেজের প্রতিষ্ঠাতাদের স্বপ্নপূরণ করবেন।আগামী প্রজন্মের কাছে দৃষ্টান্ত হবেন আপনারা, আমার দৃঢ় বিশ্বাস।”
নবীন ছাত্র-ছাত্রী , বিশিষ্ট শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী এবং অন্যান্য প্রাক্তনী সহ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রিনা প্রামানিক, সমাজ সেবী সুব্রত কর, কলেজের প্রাক্তন ছাত্র নেতা অরবিন্দ মৈত্র,দীপঙ্কর চাটার্জ্জী, বিশ্বমোহন প্রামানিক প্রমুখ।