|
---|
নিজস্ব প্রতিবেদক:- অনিয়মিত ট্রেন চলার প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল থেকে হাওড়া-তারকেশ্বর শাখার নসিবপুরে রেল অবরোধ করেন নিত্যযাত্রীরা। সকাল ৬ টা ২০মিনিট থেকে অবরোধ টানা চলে সকাল ১০টা পর্যন্ত। প্রায় চার ঘণ্টার এই অবরোধের জেরে ওই শাখায় দীর্ঘক্ষণ ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। হাওড়া-তারকেশ্বর ও গোঘাট শাখায় ট্রেন চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় বিকেল নাগাদ। সব মিলিয়ে নিত্যযাত্রীরা এ দিন চরম ভোগান্তির শিকার হন।পূর্ব রেলের মুখ্য জন সংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ট্রেন সময়ে চলার আশ্বাস পেয়ে অবরোধকারীরা সরে যান। তবে ওই অবরোধের জেরে টানা চার ঘণ্টা তারকেশ্বর শাখায় ট্রেন চলাচল করেনি। ট্রেন দেরিতে চলার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।ট্রেনযাত্রীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই হাওড়া মেন ও তারকেশ্বর শাখায় নির্দিষ্ট সময়ে ট্রেন চলাচল করছে না। তার উপর দুপুর ও বিকেলের দিকে ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে। এই অনিয়মিত ট্রেন চলাচলের প্রতিবাদে নিত্যযাত্রীরা বহুদিন ধরেই ক্ষুব্ধ ছিলেন। শুক্রবার তিনটে ট্রেন বাতিল করেন রেল কর্তৃপক্ষ। তার উপর ভোর পাঁচটার ট্রেন আসে ছ’টায়। এতেই ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে নিত্যযাত্রীদের। তারকেশ্বর শাখার নসিবপুরে শুরু হয় অবরোধ।তারকেশ্বর, হরিপাল, সিঙ্গুর-সহ বেশ কিছু এলাকায় চাষিরা নিয়ম করে তাঁদের কাঁচা আনাজের পসরা নিয়ে বাজার ও হাটে যান। নসিবপুরের কৃষক তপন কোলের ক্ষোভ, ‘‘ভোরে ট্রেন ঠিক সময়ে আসছে না। এ দিকে ঠিক সময়ে বাজারে না পৌঁছলে তো আনাজ শুকিয়ে যাচ্ছে।’’এক অফিসযাত্রীর অভিযোগ, ‘‘ট্রেন সময়ে না আসায় অফিস পৌঁছতে রোজ দেরি হচ্ছে। কাঁহাতক আর ট্রেন দেরির কথা বলা যায়!’’ খুদে পড়ুয়াকে নিয়ে এক অভিভাবকের অভিযোগ, ‘‘এখন স্কুল, কলেজ সব খুলে গিয়েছে। ট্রেন দেরিতে আসায় প্রায়ই স্কুলে যেতে দেরি হচ্ছে। এমন করে কী করে চলবে?’’এ দিনের অবরোধের জেরে বিপাকে পড়েন নিত্যযাত্রীরাও। আদিসপ্তগ্রামের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের এক পড়ুয়া বলেন, ‘‘শেওড়াফুলি স্টেশনে ট্রেন বহুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকায় আমরা ক্লাস করতে পারিনি। বিক্ষোভ ঠিক ছিল। কিন্তু তার সময় একটু কমালে এত ভোগান্তি হত না।’