|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : জনবহুল এলাকায় মাঝ বরাবর বয়ে গেছে কানা দামোদর। কানা দামোদর নদীর উপর কাঠের পুল নির্মাণের কাজ শুরু হতেই খুশি গ্রামের মানুষ। দুই প্রান্তে দুটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৫ থেকে ১৬ টি গ্রাম। দুটি গ্রাম পঞ্চায়েতর যোগাযোগ মাধ্যম একটি ৫০-৫৫ ফুটের কাঠের সেতু। সেতুর এক প্রান্তে জগৎবল্লভপুর খাঁড়াপাড়া আর অন্য প্রান্তে গোহালপোতা গ্রাম। যে গোহালপোতা গ্রাম হাওড়ার ইতিহাসের পাতায়। সত্যনারায়ন খাঁ যিনি জগৎবল্লভপুরের রূপকার অন্যদিকে জগৎবল্লভপুর এর ঐতিহ্য চন্ডী মাতা ফিল্মসের কর্ণধার। তাঁর হাত ধরেই একসময় প্রত্যন্ত গ্রামের সঙ্গে শহর কলকাতার নিবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল।সত্য নারায়ন বাবু গ্রামের মানুষের কথা ভেবে গ্রামের উন্নয়নে৷ সে সময়ে কানা দামোদর নদীর উপরে গোহালপোতায় একটি কংক্রিটের ব্রিজ নির্মাণ করেন। হাজার হাজার মানুষ সেই ব্রিজের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে যাতায়াত করতে। কয়েক দশক পর নদী সংস্কারের সময় ব্রিজটি ভেঙে পড়ে। নতুন করে সমস্যায় পড়ে কয়েক হাজার মানুষ। ব্রিজ ব্যবহার করে যে গন্তব্যে পৌঁছতে ৫ মিনিট সময় লাগত, ঘুরপথে সেখানে পৌঁছতে সময় লেগে যাচ্ছে কয়েক গুণ বেশি। দ্রুত মানুষের সমস্যা সমাধান করতে তড়িঘড়ি কাঠের ব্রিজ তৈরি হয়। গ্রামের মানুষের প্রায় সমস্ত কাজ কাঠের উপর দিয়েই উতরে যেত। কয়েক বছর কাটতে না কাটতেই আবার দুর্ভোগ! আবারও ভেঙে পড়ে ব্রিজ।দুইটি গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েক হাজার মানুষ, ব্রিজ ভেঙে পড়তেই তাঁরা দাবি করেন আর কাঠের ব্রিজ না এবার হোক কংক্রিটের ব্রিজ। একবার কংক্রিটের ব্রিজ তৈরি হলে কাটবে কয়েক দশক। মানুষের চাহিদা মেটাতে প্রশাসনও তৎপর কংক্রিটের ব্রিজ নির্মাণ করতে, স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান রঞ্জন কুন্ডু জানান, পঞ্চায়েত ও জগৎবল্লভপুর কেন্দ্রের বিধায়ক সীতানাথ ঘোষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন কংক্রিটের ব্রিজ নির্মাণ করতে। কংক্রিটের ব্রিজ তৈরি করতে ইতিমধ্যেই প্রাথমিক পর্যায়ে ডিপিআর তৈরিও হয়েছে, তবে এটা সময় সাপেক্ষ।
মানুষের দুর্ভোগের কথা ভেবে কংক্রিটের ব্রিজ তৈরির আগে মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থা সচল রাখতে তড়িঘড়ি কাঠের ব্রিজ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। কংক্রিটের ব্রিজ তৈরি হবে, ঠিক তার আগে যাতায়াত ব্যবস্থা ঠিক রাখতে সাধারণ মানুষের কথা ভেবে কাঠের ব্রিজ নির্মাণ হচ্ছে! তা দেখেই খুশি গ্রামবাসী।