সাধারণের জন্য পুরসভায় পোষাক ফতোয়া নিয়ে বিতর্ক

সাকিব হাসান,সোনারপুর: রাজপুর সোনারপুর পুরসভায় পোষাক ফতোয়া নিয়ে বিতর্কের ঝড়। পুরসভায় আসতে হলে পরতে হবে শালীন পোষাক। অশালীন বা দৃষ্টিকটূ পোষাক পরে পুরসভার কার্যালয়ে প্রবেশ করা যাবে না। সাধারণ মানুষের জন্য এমনই পোষাক ফতোয়া জারি করেছে রাজপুর-সোনারপুর পুরসভা।পুরসভার প্রবেশ দ্বারে এজন্য পোষ্টার লাগিয়েছে পুর আধিকারিকরা। যা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক দেখা দিয়েছে সোনারপুর জুড়ে। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। পুরসভা সূত্রে খবর, রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার রাজপুর কার্যালয়ে সম্প্রতি বেশ কিছু মানুষ বার্মুন্ডা, হাফপ্যান্ট পরে কার্যালয়ে আসছেন বিভিন্ন রকম নাগরিক পরিষেবা নিতে। সেই অবস্থাতেই অনেকে চেয়ারে বসে পায়ের ওপর পা তুলে ঘন্টার পর ঘণ্টা বসে থাকছেন। তাতে শুধু পুর কর্মী নয় পরিষেবা নিতে আসা অন্যান্য মানুষের বিশেষ করে’ মহিলাদের অস্বস্তি বাড়ছে। সেকারণেই এই ফতোয়া। হ্যাফপ্যান্ট বা বার্মুন্ডা পরে আসা নাগারিকদের ফেরত পাটাচ্ছে গেটের দায়িত্বে থাকা রক্ষীরা। দক্ষিণ ২৪ পরগণার বারুইপুর(পূর্ব) বিজেপির সভাপতি সুনীপ দাস বলেন, ‘পুরসভা কর্তৃপক্ষ এ ভাবে পোষাক ফতোয়া দিতে পারেন না, তালিবানিরা এমন ফতোয়া দেয়। বরং পুরসভা নিজের কাজ টা ঠিক করে করুক।কিভাবে জমা জল বার করা যায়, এলাকার উন্নয়ন করা যায় সেদিকে নজর দিক। বিরোধীদের বক্তব্য, রাজ্যের কোন পুরসভাতেই এমন ভাবে পোশাক-পরিচ্ছদ নিয়ে বিধিনিষেধ জারি করা হয়নি। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে রাজপুর- সোনারপুর পুরসভা অফিসে পরিষেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষকে এমন নির্দেশিকা দিতে পারে কিনা” তা’ নিয়েই এবার প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। বিরোধীদের মন্তব্যকে চাঁচাছোলা ভাষায় বিদ্রুপ করে রাজপুর সোনারপুর পুরসভার প্রশাসক পল্লব দাস বলেন, ‘ এমন কিছু পোশাক না পরেই আসা উচিত যা দৃষ্টি কটু লাগে। আগামীদিনে যাতে অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য রাজপুর পুরসভা কার্যালয়ের পক্ষ থেকে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে এই পোশাক নিয়ে ইতিমধ্যেই অনেকেই এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। বিশেষ করে মহিলারা। তারা জানিয়েছেন আগামী দিনে সব পৌরসভা গুলোতে এই উদ্যোগ নেওয়া হলে খুব ভালো হবে।