কেশপুরে পরীক্ষায় দেদার টুকলি, সাহায্য করলেন শিক্ষকরা!

বিশেষ সংবাদদাতা, মেদিনীপুর:
পরীক্ষার হলের মধ্যেই দেদার চলছে টুকলি! কেউ মোবাইল ফোন নিয়ে আবার কেউ বই খাতা খুলে টুকলি করছে। আর সেই টুকলি করতে সাহায্য করেছেন স্বয়ং শিক্ষকরা! এমন ঘটনা কেশপুর ব্লকের চার নং অঞ্চলের মহিষাগেড়িয়া এ এম এ হাই মাদ্রাসায় ঘটেছে বলে অভিযোগ। ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হতেই শিক্ষা মহলে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গেছে। প্রশ্ন উঠেছে শিক্ষকদের ভূমিকা নিয়েও ! শুধু তাই নয়, এই খবর করতে গেলে শিক্ষক ও ছাত্রদের দ্বারা সাংবাদিকও নিগৃহীত হয়।
প্রবল তাপপ্রবাহের কারণে গত সোমবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি ঘোষণা করেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তার তার আগেই পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করেছিল। সেই মতো কেশপুরের ওই মাদ্রাসায় একাদশ শ্রেণির ভোকেশনাল এর পরীক্ষা চলছিল। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে এক একটি বেঞ্চে দুই থেকে তিনজন পরীক্ষার্থী বসে আছে। বেঞ্চের উপরে কারো মোবাইল ফোন আবার কেউ খুলে রেখেছে নোট বা রেফারেন্স বই। তা দেখে দিব্যি টুকে যাচ্ছে পরীক্ষার্থীরা।আর তাতে সাহায্য করছেন শিক্ষকরা! এমন ঘটনার খবর করতে গিয়ে নিগৃহীত হলো স্বয়ং সাংবাদিক। পরীক্ষার হল থেকে বেরিয়ে তেড়ে গিয়ে সাংবাদিককে হুমকি দেয়।
কিছুক্ষণ পর কেরে নেওয়া হয় সংবাদমাধ্যম কর্মীর ক্যামেরা, বুম, মোটর বাইকের চাবি ও ব্যাগ। দীর্ঘ এক ঘণ্টা আটকে রাখা হয় সাংবাদিককে। গলার কলার ধরে চলে শাসানি। মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে রেখে দেওয়া হয়, হুমকির সুরে চলে অকথ্য গালাগাল। জোর করে মোবাইলে সাংবাদিকের ছবি তুলতে থাকে তারা, নিজেদের দুর্বলতা ঢাকতে সাংবাদিক জোর করে বলাতে থাকে দশ হাজার টাকা চেয়েছি তাদের কাছ থেকে। চলে মারধোর ঘুষি! মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ফুটেজ ডিলিট করার চেষ্টা করা হয় বারবার। শেষ আবার এই হুমকি দিতে থাকে এই খবর যদি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয় তাহলে প্রাণে মেরে ফেলা হবে উক্ত সাংবাদিককে। অতঃপর দুপুর একটা চল্লিশ নাগাদ কোন এক মহল থেকে শিক্ষকদের কাছে একটি ফোন আসে, তারপরে একে একে ফেরত দিতে থাকে মোবাইল, ব্যাগ, বুম মোটর সাইকেলের চাবি। বাড়ি ফেরার সময় জোর করে ভিডিও রেকর্ড করে বলানোর চেষ্টা চলে যে তাকে তারা আটকে রাখেননি এই প্রতিশ্রুতি না দিলে ছাড়বেন না। প্রশ্ন উঠেছে সংবাদ মাধ্যম সত্য খবর প্রকাশ করলেই কেন এত গোসা অপরাধকারীদের! ঘটনার খবর ঘিরে নিন্দার ঝড় জেলা জুড়ে।