|
---|
নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: ঘটনা এক। বিদ্যুতের মাশুল কমানোর দাবিতে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁ। কিন্তু ঠিক তার আগের রাতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বার্তা পাঠান, করোনার কারণে এখন কোনও জমায়েত করা যাবে না। ঘটনা দুই। হেমেতাবাদের বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের রহস্যমৃত্যুর পর সেখানে ছুটে গিয়েছিলেন সৌমিত্র। কিন্তু তিনি হেমতাবাদ পৌঁছনোর পর পরই দিলীপ ঘোষ তাঁকে ফিরে আসতে বলেন। ঘটনা তিন।
বৃহস্পতিবার সাংগঠনিক বৈঠকের জন্য বিষ্ণুপুর গিয়েছিলেন দিলীপ। স্থানীয় সাংসদ সৌমিত্রর বদলে দলের রাজ্য সভাপতির সঙ্গী ছিলেন পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় মাহাতো।সৌমিত্র ছিলেন কলকাতায়।বিজেপির একাধিক সূত্রে বলা হচ্ছে, এই তিনটি ঘটনাতেই স্পষ্ট, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে দলের যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁর সম্পর্ক কতটা বেতালা।
সৌমিত্র-ঘনিষ্ঠদের অভিযোগ, সৌমিত্র যে ভাবে সংগঠন সাজাতে চাইছেন, তা মেনে নিতে পারছেন না দিলীপ। আবার দিলীপ-শিবিরের বক্তব্য, সৌমিত্র নিজের পুরনো দল, তৃণমূলের কায়দায় সংগঠন পরিচালন করতে চাইছেন আর সেই জন্যই তাঁর সঙ্গে খটাখটি লাগছে বিজেপির রাজ্য সভাপতির।বিজেপি সূত্রের খবর, রাজ্যে যুব মোর্চার সভাপতি বদল এখনই করতে চাননি দিলীপ। তিনি চেয়েছিলেন, বিধানসভা ভোট পর্যন্ত দেবজিৎ সরকারই ওই পদে থাকুন।
দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র চাপে যুব সভাপতি পদে বদল হয়। বিভিন্ন শিবিরের মধ্যে আলোচনার পর সৌমিত্র খাঁয়ের নামে রফা হয়। তবে যুব মোর্চার নতুন সভাপতি এলেও এখনও রাজ্য কমিটি তৈরি হয়নি। তা নিয়েও চলছে জোর দড়ি টানাটানি।এক রাজ্য নেতার কথায়, ‘দলের রাজ্য নেতৃত্ব যুব মোর্চায় বিভিন্ন সাংগঠনিক পরিবর্তনের কথা বলেছেন। কিন্তু সৌমিত্র খাঁ সম্ভবত এ সব মানতে চাইছেন না।’ সৌমিত্র খাঁ অবশ্য বলছেন, ‘আমি ছোটাছুটি করে কাজ করা পছন্দ করি। দিলীপদা তাতে আমাকে উৎসাহই দেন।’ দিলীপের কথায়, ‘আমাদের মোর্চার সভাপতিরা সবাই বিজেপিতে নতুন। আমাদের দলের ঘরানা তাঁদের বুঝতে হবে। আমি সৌমিত্রকে বলেছি, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় যাও, দলীয় কর্মীদের সঙ্গে পরিচয় করো।’