|
---|
লুতুব আলি, ২৭ মার্চ : যশোর রোডের শতাব্দী প্রাচীন গাছ কাটা নিয়ে কলকাতা প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন ও ধর্মতলা মেট্রো চ্যানেলে মানববন্ধন সংগঠিত করল যশোর রোড গাছ বাঁচাও কমিটি। এই মানববন্ধনে রাজধানী কলকাতার বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন একত্রিত হয়ে যশোর রোড গাছ বাঁচাও কমিটির সঙ্গে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করল। যশোর রোড গাছ বাঁচাও কমিটি থেকে জানানো হয়েছে : গত ৯ ফেব্রুয়ারি দীর্ঘ পাঁচ বছরের আইনের লড়াইয়ের শেষে দেশের সর্বোচ্চ আদালত ৩১ আগস্ট ২০১৮ তে কলকাতা হাইকোর্ট যশোর রোডে ৩৫৬ টি গাছ কেটে রেল ওভারব্রিজ করার পক্ষে যে আদেশ দিয়েছিল তা বহাল রেখেছে। সুপ্রিম কোর্টের রায়দানের পর যশোর রোড সহ সমগ্র এলাকায় প্রাণ-প্রকৃতি পরিবেশ নিয়ে তারা চিন্তিত। যশোর রোডের এই গাছ কাটার রায় যশোর রোড গাছ বাঁচাও কমিটি এবং স্থানীয় এলাকার মানুষ মহামান্য উচ্চ ন্যালয়ের এই আদেশ মেনে নিতে পারছেন না। যশোর রোড শুধু পরিবেশের দিক থেকে নয়, যশোর রোড ইংরেজ উপনিবেশিকতা থেকে শুরু করে দেশভাগের পর উদ্বাস্তু মানুষের লড়াইয়ের সাক্ষী, যশোর রোড একটি জীবন্ত ইতিহাস। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে এ পিডিআর এর তর ফ থেকে গাছ কাটবার বিরুদ্ধে প্রথম মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলা চলাকালীন ২ এপ্রিল 2017 তে প্রথম গাছ কাটা শুরু হয়। সেই সময় স্থানীয় সচেতন মানুষ লড়াই করে গাছ কাটা বন্ধ করে দেন। এই বছরের একুশে এপ্রিল হাবরা ও বাইশে এপ্রিল অশোকনগরে আবার গাছ কাটা শুরু হলে এলাকার ছাত্র-ছাত্রী যাও কাঠ মাফিয়া স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে লড়াই করে গাছকে জড়িয়ে ধরে গাছ কাটার আটকে দেয়। ২৩ শে এপ্রিল গঠন হয় যশোর রোড গাছ বাঁচাও কমিটি। সংগঠনের আরো অভিযোগ : রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পুরনো ডাল ভেঙ্গে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়। এখানে সংশ্লিষ্ট দপ্তর গুলি কে লিখিতভাবে আগাম সর্তকতা অবলম্বন করার জন্য বার্তা দিলেও তাতে কেউ কর্ণপাত করেনি। আর ও অভিযোগ : সরকার সর্বোচ্চ আদালত কে সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য না দিয়ে ভুল তথ্যের উপর এই রায়দান হয়েছে বলে যশোর রোড গাছ বাঁচাও কমিটি ও স্থানীয় মানুষদের অনুমান। যশোর রোড গাছ বাঁচাও কমিটির পক্ষে অর্পিতা সাহা, সৌভিক মুখার্জী দের দাবি : যশোর রোডের শতাব্দী প্রাচীন গাছকে অবিলম্বে হেরিটেজ ঘোষণা করা হোক । যশোর রোডের ঐতিহ্য ও গাছগুলিকে যে কোন মূল্যে রক্ষা করার জন্য তাঁরা লড়াইয়ে নামতে পিছপা নন। প্রয়োজনে বৃহত্তর গণআন্দোলন গড়ে তোলারও তাঁরা ডাক দেন। এ ব্যাপারে এ পি ডি আর এর সহ-সম্পাদক আলতাব আমেদ, পরিবেশ কর্মী অনুপ দত্ত, টি ইউ সি সি র রাজ্য সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চক্রবর্তী প্রমুখ রাও এ ব্যাপারে তীব্র ধিক্কার জানান।