|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : সঙ্ঘাতের আবহে রাজ্যের গ্রামীণ এলাকার কাজকর্ম খতিয়ে দেখতে সাতদিনের সফরে আসছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। আগামীকাল সোমবার থেকে সাত দিনের সফরে আসছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলটি। ১০০ দিনের কাজ-সহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার, এমনটাই অভিযোগ করে আসছে রাজ্য সরকার। এই নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য দ্বৈরথ চলছে। ১০০ দিনের কাজে গত ডিসেম্বর মাস থেকে কোনও টাকা পায়নি রাজ্য সরকার। রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী পুলক রায়ের দাবি, এই খাতে এখনও পর্যন্ত রাজ্যের বকেয়া রয়েছে প্রায় সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা। রাজ্যের এই পাওনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে। সেই টানাপড়েনের আবহে গ্রামাঞ্চলে পঞ্চায়েত দফতরের কাজকর্ম খতিয়ে দেখতে রাজ্যে আসছে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিনিধি দল। পঞ্চায়েত দফতর সূত্রে খবর, আগামী ২৫ জুলাই থেকে রাজ্যের ১৫টি জেলায় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের আধিকারিকরা পরিদর্শন করবেন। কেন্দ্রীয় দলের পরিদর্শন চলবে ২২ অগস্ট পর্যন্ত।সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলটি প্রথমে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বাঁকুড়া, বীরভূম ও কালিম্পঙে যাবে। তার পর নদিয়া, কোচবিহার, মুর্শিদাবাদ, পুরুলিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, আলিপুরদুয়ার, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং ঝাড়গ্রামে যাবে।১ থেকে ৬ অগস্ট পর্যন্ত পরিদর্শন চলবে মুর্শিদাবাদ, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়। ৭ থেকে ১২ অগস্ট পর্যবেক্ষণ চলবে নদীয়া, আলিপুরদুয়ার, দুই দিনাজপুরে। ১৭ থেকে ২২ অগস্ট কোচবিহার, পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রামে যাবে কেন্দ্রীয় দল। একেকটি পর্যবেক্ষক দল অন্তত চার থেকে ছ’টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও দু’টি করে পঞ্চায়েত সমিতি এলাকায় যাবে। এই পরিদর্শনের পর কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারের বকেয়া পাওনা মিটিয়ে দিতে পারে বলে আশা করছেন নবান্নের কর্তারা।কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল পশ্চিমবঙ্গে আসার আগে গত বৃহস্পতিবার জেলাগুলির সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন পঞ্চায়েত দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, তাঁরা যা জানতে চাইবেন, তা তথ্য-সহ তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা ও গ্রামীণ সড়ক যোজনার তথ্য নিয়ে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে জেলাগুলিকে। আপাতত এই সফরে সহযোগিতার বার্তা দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে রাজ্যের বকেয়া সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা আদায় করে নেওয়াই পঞ্চায়েত দফতরের লক্ষ্য বলেই মন্তব্য করেছেন দফতরের এক আধিকারিক।