কৃষিভিত্তিক উন্নয়নের লক্ষ্যে চারামাছ,শস্যবীজ ও চারাগাছ প্রদান

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: পরিবেশ গবেষণা সংস্থা ট্রপিক্যাল ইন্সটিটিউট অব্ আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট রিসার্চ (টিয়ার) সংস্থার উদ্যোগে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝাড়গ্রাম জেলার জাম্বনী থানার ঝাড়খন্ড লাগোয়া সংস্থার দত্তক গ্রাম জামডহরী তে দ্বিতীয় পর্বের চারামাছ, বিভিন্ন ধরনের বীজ ও চারাগাছ বিলি করা হয়। মূলতঃ এই এলাকার জনজাতির মানুষদেরকে কৃষিভিত্তিক প্রয়াসের মাধ্যমে অর্থনৈতিক দিক থেকে স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে কলা, লেবু, তেজপাতা, পেঁপে চারাগাছ, ওল ও আদার কন্দ এবং শশা, ঝিঙে, পেঁপে, ভূট্টা, করলা, কলমী,পুঁই ও নটেশাকের বীজ বিলি করা হয়। পাশাপাশি পশুখাদ্য বীজ প্রদান করা হয়।

     

    সংস্থার সম্পাদক তথা কাপগাড়ির সেবা ভারতী মহাবিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড.প্রণব সাহু জানান, বর্তমান করোনা আবহে ও লকডাউনের সময় সাধারণ মানুষ অর্থনৈতিক দিক থেকে সঙ্কটের মুখে।তাই তাঁদেরকে কিছুটা হলেও স্বনির্ভর করার লক্ষ্য তাঁদের সংস্থা এই উদ্যোগ নিয়েছে।পাশাপাশি জামডহরী গ্রামকে দত্তক গ্রাম হিসেবে নেওয়া হয়েছে।

    এখানের মাটি ও পুকুরের জল পরীক্ষা করে ইতিমধ্যেই মিশ্রকৃষির অন্তর্গত কিছু ফসল চাষের প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। পুকুরের জলের গুণমান বিচার করে এদিন এই এলাকার তিনটি পুকুর ও কয়েকটি ডোবায় প্রায় এক কুইন্টাল ওজন পরিমাণ রুই, কাৎলা, মৃগেল, সিলভার কার্প,বাটা, মাছের চারাপোনা ছাড়া হয়।মাছ চাষ ও ফসল চাষের প্রাথমিক খরচ সংস্থা বহন করবে। মাছচাষ ও ফসল চাষ থেকে পাওয়া উদ্বৃত্ত অর্থ জনসাধারণ গ্রহণ করবেন এবং এলাকার মানুষদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে ব্যবহার করা হবে। স্থানীয় বাজার গিধনী, চাকুলিয়া, পড়িহাটি এলাকায় গিয়ে ফসল ও সব্জি বিক্রি করে অর্থনৈতিক দিক থেকেও স্বনির্ভর হতে পারবেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের সংস্থার লক্ষ্য হলো সরাসরি অর্থ সাহায্য না করে উনাদের স্বনির্ভর করে তোলা। সেদিক থেকে লক্ষ্য রেখে কর্মসূচির নামকরন করা হয়েছে ‘কৃষিভিত্তিক স্থায়ী অর্থনৈতিক উন্নয়ন’।

    বৃহস্পতিবারের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার উপদেষ্টা সদস্যা বিষ্ণুপুর রামানন্দ কলেজের অধ্যক্ষা ড.স্বপ্না ঘোড়ুই, কাপগাড়ী কলেজের অধ্যাপক সুপ্রকাশ দাস, সংস্থার কোষাধ্যক্ষ শিক্ষক নরসিংহ দাস,শিক্ষক ড.শুভেন্দু ঘোষ, শিক্ষক মণিকাঞ্চন রায়, শিক্ষক সুদীপ কুমার খাঁড়া,শরৎ চ্যাটার্জী, বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মী সমীর মাহাত প্রমুখ।এলাকাবাসীদের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন দিলীপ মান্ডি। দিলীপ বাবু জানান,এই ধরনের কর্মসূচি তাঁদের ধীরে ধীরে আর্থিক দিক থেকে স্বনির্ভর করতে সাহায্য করবে।তাঁরা এই উদ্যোগ কে স্বাগত জানাচ্ছেন। আগামী দিনে তাঁরা এই সংস্থার পাশে থেকে সংস্থার বিজ্ঞান ভাবনা প্রসূত এই প্রকল্পকে তাঁরা সব গ্রামবাসী মিলে এগিয়ে নিয়ে যেতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এছাড়াও এদিন সংস্থার তরফ থেকে গ্রামবাসীদের হাতে মাস্ক তুলে দেওয়া হয় এবং করোনা আবহে স্বাস্থ্য সচেতনতার বার্তা দেওয়া হয়।