ডঃ বিআর আম্বেদকরের ১৩১ তম জন্ম দিবস পালন হলো স্থানীয় ব্লক তৃণমূল এসটি , এসি , ওবিসি সেলের উদ্যোগে হুগলির হরিপালে

নিজস্ব সংবাদদাতা : ডঃ বিআর আম্বেদকরের ১৩১ তম জন্ম দিবস পালন হলো হুগলির হরিপালে। স্থানীয় ব্লক তৃণমূল এসটি , এসি , ওবিসি সেলের উদ্যোগে আয়োজিত হয় এই অনুষ্ঠন। ভারতের প্রথম আইন মন্ত্রীর জন্ম দিবসে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্না। পদযাত্রা ও পতাকা উত্তোলনেরমধ্যে দিয়ে পালিত হয় ভারতবর্ষের আইনের স্রষ্ঠা ডঃ বি আর আম্বেদকরের জন্মদিন। ভিমরাও বাবাসাহেব আম্বেদকারের জন্মদিবস অনুষ্ঠানের সূচনা করে মন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন যে,বি আর আম্বেদকর এর ১৩১ তম জন্মদিন আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করেছি৷ আমাদের সংবিধানের প্রণেতা ডঃ আম্বেদকর দলিত মানুষদের জন্য যে কাজ করে গেছেন তা আমরা কোনদিনও ভুলতে পারবো না। এছাড়াও তিনি আমাদের দেশের যে সংবিধান রচনা করেছেন তা বিশ্বের কাছে আজ গবেষণার বিষয়। এই জ্ঞানী মনীষীর প্রতি আজকে আমরা শ্রদ্ধা জানাতে পেরে নিজেদের গর্বিত মনে করছি। হরিপাল লোকমঞ্চে আজকের এই অনুষ্ঠানে হাজারের বেশি মানুষ উপস্থিত থেকে ডঃ বি আর আম্বেদকর এর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ডঃ বিআর আম্বেদকর অর্থাৎডঃ ভীমরাও বালাজি আম্বেদকর এর জন্ম হয় ১৮৯১ এর ১৪ এপ্রিল মধ্যপ্রদেশের একটি দলিল পরিবারে। জাতিভেদ প্রথার বিরুদ্ধেসারা জীবন সংগ্রাম করে গিয়েছেন তিনি। তার পরিবার ছিলমারাঠী অধ্যুষিত বর্তমান কালের “মহারাষ্ট্র”-এর রত্নগিরি জেলার “আম্বোভাদ” শহরে। বি আর আম্বেদকরছিলেন মহর জাতি। যারা তৎকালীন সময়ে অস্পৃশ্য জাতি হিসেবে এবং প্রচণ্ড আর্থ-সামাজিক বৈষম্যের শিকার হয়। আম্বেদকরের পূর্বপুরুষেরা ছিলেন ব্রিটিশ ইস্ট – ইন্ডিয়া কোম্পানির সেনা এবং তার পিতা “রামজী শাকপাল” মোহ সেনানিবাসের ভারতীয় সেনা হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন৷ তিনি সেকালের গৎবাঁধা শিক্ষাপদ্ধতিতে মারাঠী এবং ইংরেজিতে ডিগ্রি লাভ করেছিলেন এবং সেইসাথে তিনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা লাভে কঠোর পরিশ্রমে সন্তানদের উদ্বুদ্ধ করেন। কবির পান্থের মতে, রামজী শাকপাল তার সন্তানদের হিন্দু সংস্কৃতি সম্পর্কে অধ্যয়ন করতে উদ্বুদ্ধ করতেন। যদিও আম্বেদকর বিদ্যালয়ে যেতেন, তাকে অন্যান্য অস্পৃশ্য শিশুর ন্যায় আলাদা করে দেয়া হত। শিক্ষকরা তাদের প্রতি অমনোযোগী ছিলেন এবং কোনোরূপ সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব পোষণ করতেন না। নিচু জাতের হওয়ার দরুন শ্রেণিকক্ষের ভেতরে বসার অনুমতি ছিলনা তাঁর। এমনকি তাঁদের যদি তৃষ্ণা পেতো উচ্চবর্ণের কোনো একজন উচু থেকে জল ঢেলে দিত পান করার জন্য৷ যাতে নিচুজাতের শিক্ষার্থীরা জলের পাত্র স্পর্শ না করতে পারে। বাবা সাহেব আম্বেদকরের নিজের জীবনের সঙ্গে ঘটা জাতিভেদর শিকার ছিলেন। তাই পরবর্তীতে তাঁর জীবন অতিবাহিত করেন জীবন অতিবাহিত করেন জাতিভেদ প্রথার বিরুদ্ধে লড়াই করে। বি . আর . আম্বেদকর আমেরিকা গিয়ে ১৯১৫ সালে এম- এ পাস করেন । পরের বছর ডক্টরেট করে ডক্টর ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯১৮ সাল থেকে ১৯২০ সাল পর্যন্ত ডক্টর আম্বেদকর আইন বিষয়ে অধ্যাপনা করেন । পরবর্তীকালে ১৯২৫ সাল থেকে তিনি বােম্বাই হাইকোর্টে আইনজিবি পদে যোগদান করেন। জাতিভেদ প্রথার বিরুদ্ধে তিনি বার বার সরব হন। পরবর্তীতে তিনি ভারতে সংবিধানের খসরা রচনা করেন এবং স্বাধীন ভারতের প্রথম আইন মন্ত্রী পদে নিযুক্ত হন।