দীর্ঘকাল যাবৎ রবীন্দ্রভবন বন্ধ থাকার দরুন সেটি হয়ে উঠেছিল ভাম বিড়ালের আস্তানা

নিজস্ব সংবাদদাতা :রিষরা রবীন্দ্র ভবনের সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছিল বেশ কিছুদিন আগে। সংস্কারের কাজ প্রথম দিকে চালু হলেও ফলস সিলিং তৈরি করার সময় বিপাকে পড়েন পুরসভা কর্তৃপক্ষ। যতবারই সিলিং এর কাজ হয় ততবারই কোনও এক অজ্ঞাত কারণে সেগুলি ভেঙে যেত। কারণ খুঁজতে গিয়ে পুরসভা কর্তৃপক্ষ খুঁজে পান এই ভাম বিড়ালদের।দীর্ঘকাল যাবৎ রবীন্দ্রভবন বন্ধ থাকার দরুন সেটি হয়ে উঠেছিল ভাম বিড়ালের আস্তানা। তাই যতবার সংস্করণ এর কাজ হয় ততবারই কাজ ভেঙে দিয়ে যেত এই ভাম বিড়ালেই। ভাম বিড়ালের উপদ্রব থেকে রেহাই পেতে পৌরসভা কর্তৃক দ্বারস্থ হন বনদপ্তরের। বনদপ্তর থেকে ফাঁদ পেতে দু একটি ভাম বিড়াল ধরলেও বাকিরা অধরাই থেকে গিয়েছিল। পুরসভার চেয়ারম্যান বিজয় সাগর মিশ্র চেয়েছিলেন এমন এক ব্যবস্থা যাতে , ওই বন্য প্রাণীগুলির কোন ক্ষতি না হয়ে তাদেরকে ধরা যায়। তারপর তিনি দ্বারস্থ হন বিশিষ্ট পশুপ্রেমী ক্লেমন্ড সিং এর কাছে। তখনই বেরিয়ে আসে আল্ট্রাসাউন্ড দিয়ে ভাম বিড়াল ধরার উপায়। সেই মতই প্রতিদিন বিকেলবেলা রবীন্দ্রভবনে একটি নির্ধারিত সময়ে মিউজিক সিস্টেম চালিয়ে ধরা হচ্ছে ভাম বিড়াল।রিষরা পুরসভার চেয়ারম্যান বিজয় সাগর মিশ্র জানান, বন্যপ্রাণী গুলি কোনও রকম ক্ষতি না করে তাদের অন্যত্র সরিয়ে নতুন বাসস্থান করে দেওয়ার জন্য তিনি প্রথম থেকে উদ্যোগী ছিলেন। তখনই সামনে আসে আল্ট্রা সাউন্ড সিস্টেমের ব্যবহারের বিষয়টি। তারপর থেকে শুরু হয় প্রতিদিন বিকেলে মিউজিক বাজিয়ে ভাম ধরার কাজ। তিনি আরো বলেন রবীন্দ্রভবন সংস্কারের ৯০ শতাংশ কাজ হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। ভাম বিড়াল থেকে মুক্তি মিললেই পুরোদমে চালু হবে রবীন্দ্রভবন।বিশিষ্ট পশুপ্রেমী ক্লেমন্ড সিং জানান, ভাম বিড়াল ধরার এই অভিনব পদ্ধতিতে কাজ হচ্ছে বেশ ভালই। তিনি আরও বলেন, যে আল্ট্রা সাউন্ড ব্যাবহার করা হচ্ছে সেটি কিন্তু মানুষের পক্ষে ক্ষতিকর কিন্তু ভাম বিড়ালদের জন্য ক্ষতিকর নয়। তাই প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে জনমানব শূন্য করে চলছে ভাম বিড়াল তাড়ানোর কাজ।