|
---|
আজিজুর রহমান,পশ্চিম বর্ধমান : দুর্গাপুর নেপালিপাড়া হিন্দি হাইস্কুলে সুবর্ন জয়ন্তী বর্ষ পালন অনুষ্ঠান আজ শেষ হল। গত কয়েকদিন আগেই অনুষ্ঠানের সুচনা হয়। যেখানে শতশত গুনি মানুষের সমাগম ঘটে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক তথা জাতীয় শিক্ষক ডক্টর কলিমুল হক জানিয়েছেন, ১৯৭৩ সালে ওই স্কুলের প্রতিষ্ঠা করা হয়। যেখানে এলাকার ওই কমবেশি ৪৫০০ ছেলে মেয়ে পড়াশোনা করে। এই কদিন তারা পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমানের বহু স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের স্মারক সম্মান জানিয়েছেন। তাছাড়া প্রশাসনের বহু আধিকারিকদেরও সম্মান জানানো হয়। এর পাশাপাশি এই কি দিন স্কুলের বিভিন্ন কৃতী ছাত্র ছাত্রীদের পুরস্কৃত করা হয়। তাছাড়াও নাচ গান আবৃত্তি ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মধ্য দিয়ে নিজেদের কলাকুশলী তুলে ধরে স্কুলে ছাত্র ছাত্রীরা। সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রাম উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। বিজড়া হাই স্কুলের প্রধান তথা শিক্ষারত্ন প্রাপক শিক্ষক কাজী নিজামউদ্দিন বলেন, ২০১০ সালে ডক্টর কলিমুল হক ওই স্কুলে যোগদান করেন। তখন স্কুলে ছোট দুটি বিল্ডিং ছিল। তারপরই সকল শিক্ষক শিক্ষিকা ও পরিচালন সমিতি সদস্যরা শিক্ষক কলিমুল বাবুর সাথে স্কুলের মান বাড়াতে উদ্দ্যোগী হন। এর পরই কয়েক বছরে কলিমুল বাবু ও তার টিম একত্রে স্কুলের ভোল বদলে দেন। এর ফলে বেশকিছু পুরস্কার এসেছে স্কুল সহ তার ঝুলিতে। রাজ্য সরকার থেকে কেন্দ্রীয় সরকার ছাড়াও বহু জায়গা থেকে এমনকি সরকারি শিক্ষা রত্ন থেকে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেয়েছেন ডক্টর কলিমুল হক। তিনি কলিমুল স্যারের কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। জানা গেছে, দেশের অন্যতম সেরা স্কুল হিসাবে নির্বাচিত হয়েছে নেপালিপাড়া হিন্দি হাই স্কুল। যেখানে যামিনী রায় পুরস্কার থেকে শুরু করে বহু পুরস্কার পেয়েছে ওই স্কুল। শেষ দিনেও এলাকার বহু গুনি জনকে সম্মান করা হয়। তার সাথে সাথে সুন্দর প্রতিবেদন লেখার জন্য পুবের কলম পত্রিকার জেলা সাংবাদিক সফিকুল ইসলামকে পুরস্কৃত করা। অনুষ্ঠান মঞ্চে সফিকুল ইসলাম ও ডক্টর রমজান আলির লেখা “দুই রাসবিহারী” বইটি জাতীয় শিক্ষক ডক্টর কলিমুল হকের হাতে তুলে দেন শিক্ষক কাজী নিজামউদ্দিন ও সাংবাদিক সফিকুল ইসলাম।