দুর্নীতির তদন্তের দাবী, স্কুলে ঢুকতে দেওয়া হলনা প্রধান শিক্ষককে

আজিজুর রহমান, গলসি : দুর্নীতির তদন্ত না হওয়ায় প্রধান শিক্ষককে স্কুলে ঢুকতে বাধা। গেটে আটক রেখে বিক্ষোভে সামিল অভিভাবকরা। ঘটনার জেরে চরম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় গলসির পুরসা উচ্চ বিদ্যালয়ে। অবশেষে স্কুলে না ঢুকেই ফিরে যেতে হয় প্রধান শিক্ষক শুভাশীষ চন্দ কে। অভিভাবকদের একঅংশের অভিযোগে প্রধান শিক্ষক স্কুলের টাকা তছরুপের দায়ে কিছুদিন আগে মুচলেখা দিয়েছেন। তারা বলেন, প্রধান শিক্ষক প্রতিদিন বেলা বারোটায় স্কুলে আসেন। নিজের ইচ্ছামতো স্কুল চালান। কারও কথা শোনেননা। সেই নিয়ে বেশ কয়েকবার ঝামেলা হয়েছে স্কুলে। এমনকি পরিচালন সমিতির সভাপতি সহ সকল সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করে আটটি মিটিং রেজুলেশন করেছেন প্রধান শিক্ষক। এর ফলে লক্ষ লক্ষ টাকা তছরুপের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অভিভাবক নাজমুল জমাদার বলেন, স্কুলের আয় ব্যয়ের সঠিক হিসাব দিতে পারেননি প্রধান শিক্ষক। ফলে তিনি মুচলেখা দিয়ে টাকা শোধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তার দাবী, তিনিও কয়েকদিন পূর্বে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ছিলেন। তখন থেকেই ঝামেলা চলছে। শুভাশীষ বাবু দেড়লাখ জরিমানা দেবেন বলে মুচলেখা দেন। তার দাবী, জেলা স্কুল পরিদর্শক ওডিট সহ সকল বিষয়টি তদন্ত করুক। না হলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন। এইদিকে বিষয়টি নিয়ে গত ২২ ফেব্রুয়ারী জেলা স্কুল পরিদর্শকে সহ সরকারী বিভিন্ন দপ্তের অভিযোগ জানিয়েছে পরিচালন সমিতির সভাপতি সেখ ফিরোজ আহম্মেদ। স্বপন সেখ নামে আর এক অভিভাবক বলেন, পরিচালন সমিতি অভিযোগ জানালেও অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অভিযোগর কপি জেলা ও ব্লক প্রশাসনের সকল দপ্তরে দেওয়া আছে। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে গলসি থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে করে। তবে নাছোড় অভিভাবককা কোন মতেই প্রধান শিক্ষককে স্কুলে ঢুকতে দেননি। অবশেষে স্কুলে না ঢুকেই বাড়ি ফিরতে হয় প্রধান শিক্ষক শুভাশীষ চন্দকে। প্রধান শিক্ষক বলেন, স্কুলের স্বার্থে ডুপ্লিকেট স্বাক্ষর করেছেন। তাছাড়া শারিরীক সমস্যার জন্য তিনি মাঝে মধ্যে দেরিতে স্কুলে আসেন। এর সাথে সাথে মুচলেখা লেখার কথা স্মীকার করে নেন তিনি। ওই বিষয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক শ্রীধর প্রামাণিক বলেন, ঠিক কি হয়েছে জানা নেই। এস আই এর কাছ থেকে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে যদি প্রধান শিক্ষক সত্যিই ভুল করে থাকেন।