|
---|
নতুন গতি নিউজডেস্ক: ঈদ এর দিনে ও মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর পরিষ্কার রাখছে জুলুম সিং, জুলুম সিং এর পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন যুব তৃণমূল নেতা বুলবুল খান | দেশজুড়ে করণা ভাইরাসের সংক্রমণের আতঙ্ক হু হু করে বেড়ে চলেছে। চতুর্থ দফার লকডাউন চলছে সারাদেশে। মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর এর ব্যতিক্রম নয়। এরইমধ্যে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকাতে ই 17 জনের শরীরে করণা সংক্রমনের হদিস পাওয়া গিয়েছে। এমনকি তার মধ্যে 10 জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এলাকার মানুষজন আতঙ্কে ঘর বন্দী অবস্থায় রয়েছে। কিন্তু এর মধ্যেই আর পাঁচটা সাধারণ দিনের মতো ই হরিশ্চন্দ্রপুর এর বিভিন্ন ব্যস্ততম এলাকা বাজার ডেলি মার্কেট প্রভৃতি জায়গা ঝাড় ঝাঁটা দিয়ে পরিষ্কার রাখছেন ভবঘুরে জুলুম সিং। আসল নাম অবদেশ পান্ডে। স্থানীয়রা তার উগ্র মেজাজের জন্য জুলুম সিং নামেই তাকে ডেকে থাকেন। এলাকায় যত্রতত্র নোংরা ফেলা তিনি পছন্দ করেন না। এলাকাবাসী রা জানেন তার বাড়ি উত্তর দিনাজপুর জেলার কোন এক গ্রামে। সেখানে তার পরিবার ও রয়েছে। কিন্তু কোন এক অজ্ঞাত কারণে বহুদিন যাবৎ হরিশ্চন্দ্রপুর এ এ পড়ে রয়েছেন। খানিকটা মানসিক ভারসাম্যহীন। হরিশ্চন্দ্রপুর এ থাকার তার কোন স্থায়ী ঠিকানা নেই। কখনও দোকানের বারান্দায়। কখনো বা কারো বাড়ির চাতালে রাতটা কাটিয়ে দেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি হাতে ঝাঁটা নিয়ে বিড়বিড় করতে করতে সারা হরিশ্চন্দ্রপুর এর ব্যস্ততম অঞ্চলগুলি এবং মার্কেট সংলগ্ন দোকানগুলি সামনে ঝাঁর দিয়ে পরিষ্কার রাখেন সব সময়। অন্য সময় দোকানের মালিক রা হাতে কিছু পয়সা দিয়ে দেন কখনো বা খাবার দিয়ে সাহায্য করেন। কারো কাছ থেকে মুখ ফুটে কিছু চান না। দোকানের সামনে ঝাড় দেওয়ার পরিবর্তে কোন দাবি করেন না। যে যা দেয় তাতেই তিনি সন্তুষ্ট না দিলেও কিছু যায় আসে না। সারাদিন এলাকা পরিষ্কার করা ই যেন তার ব্রত। বর্তমানে পরিস্থিতি পাল্টেছে। এখন লকডাউন এর জেরে সবকিছুই বন্ধ। করোনা ভাইরাস সংক্রমনের সংক্রমণের ভয় সবাই ঘরবন্দি হয়ে আছেন। এলাকার রাস্তাঘাটে মানুষজন নেই বললেই চলে। তবু প্রতিদিনের রুটিনে ছেদ পড়েনি জুলুম সিং বা অবদেশ পান্ডের। অন্যান্য দিনের মতো ঈদের দিনেও সকাল হতেই লকডাউন এর জেরে বন্ধ হয়ে যাওয়া দোকান ঘরের সামনে ঝাঁর দিয়ে চলেছেন। পরিষ্কার রাখছেন হরিশ্চন্দ্রপুর এর ব্যস্ততম এলাকাগুলি।
স্থানীয় এক দোকানদার কৃষ্ণ দাস জানান ভবঘুরে জুলুম সিং ১০ বছর ধরে এই ভাবেই ঝাড় দিয়ে যাচ্ছেন, আমরা সব দোকানদাররা প্রতিদিন খাবার দিয়ে সাহায্য করে থাকেন |
তৃণমূল নেতা বুলবুল খান জানান অন্যান্য দিনের মতো ঈদের দিনে ঝাড় দিচ্ছে সকাল থেকে ভবঘুরে জুলুম সিং,প্রত্যেক দিনের খাওয়ার এর ব্যবস্থা করবেন, এমন কি রাস্তায় যেখানে সেখানে রাত কাটিয়ে দেয়, তার জন্য প্রশাসন কে বলে ভবঘুরে জুলুম সিং এর জন্য থাকার বেবস্তা করাবেন বলে জানালেন বুলবুল খান |