বছরের পর বছর ঈদের মধ্যে পরীক্ষার দিন নির্ধারণ , বিশ্ববিদ্যালগুলির মস্করা নাহ সংখ্যালঘু বিদ্বেষী মনোভাব?


মিজানুল কবির , কলকাতাঃ প্রতি বছরের ন্যায় চলতি বছরেও ঈদের মধ্যে পরীক্ষার দিন নির্ধারিত হয়েছে রাজ্যের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় গুলির ডিগ্রি পরীক্ষায়। কার্যত ক্ষোভে দিনভর উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া।
পবিত্র ঈদ-ঊল-ফিতর সম্ভাব্য আসন্ন জুনের ৫ তারিখে । খুশীর ঈদেও বই আঁকড়ে পড়ে থাকতে হবে হয়ত সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীদের বিশ্ববিদ্যালয় চত্তরে ,কেননা চলবে পরীক্ষা। বারাসাত স্থিত ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইউনিভার্সিটির স্নাতকস্তরে দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা ৬ তারিখে । পরীক্ষা রয়েছে আগের দিনও। অপরদিকে কল্যানি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর জুলজি বিষয়ের রয়েছে পরীক্ষা । পিছিয়ে নেই খোদ যাদবপুর কিংবা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় । একদিন এদিক ওদিকে রয়েছে পরীক্ষার তারিখ। ডব্লিউ বি ইউ টিটি পিএ আবার এমএডের পরীক্ষা রেখেছে ৬ ই জুন তারিখে।
নতুন গতির তরফে যোগাযোগ করা হলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষক ছাত্র নাম না করে জানান “খারাপ লাগলেও একটা কথা এখানে বলতে বাধ্য হচ্ছি যে এই সব বিষয়ে শুধুমাত্র আমাদেরই কেন দাবি দাওয়া লেখা লিখি প্রতিবাদ করতে হয়? আমাদের চারপাশের সেকুলার বন্ধু-বান্ধব, শিক্ষক-শিক্ষিকা, সচেতন নাগরিকদের
দেখি না এ বিষয়ে মুখ খুলতে। বা তাদের মতামত ও জানা যায় না। যতদিন না এই দাবি সার্বজনীন হবে ততদিন সুবিচার পাওয়ার আশা ক্ষীন। ”
তিনি আরও জানান ” আমার মতে নেতা-নেত্রী-মন্ত্রী-আমলা কখনও খ্রিস্টান-মুসলিম-হিন্দু বা কোনো বিশেষ সম্প্রদায়ের হয় না। তাঁরা হয় জনগণের।।সুতরাং এই সমস্ত ইস্যু সকলের দৃষ্টিগোচর করা উচিত “।
বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের তরফে সামিরুল ইসলাম জানান ” এই বিষয়টি নিয়ে খুব শীঘ্রই আমরা উক্ত বিশ্ববিদ্যালয় গুলির কাছে গিয়ে ডেপুটেশন জমা দেবো এবং দাবি রাখবো ভবিষ্যতে যেন লক্ষ রাখা হয় বিষয়টিতে “।
বিশবিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে ফোন ক্রমশ বেজে যায়।
যে রাজ্যে প্রায় টানা দুই মাস বিদ্যালয়ে গরমের ছুটি দেওয়া হয় সেই রাজ্যে কেন এভাবে ঈদের আগের কিংবা পরের দিন পরীক্ষা ? এটা কি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতি বিশ্ববিদ্যালগুলির মস্করা ! নাহ কি সংখ্যালঘু বিদ্বেষী মনোভাব ? জাগছে প্রশ্ন।