১২ বছরের মেয়েকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করেছে বাবা !অভিযোগ দায়ের করেছেন মা

নিজস্ব সংবাদদাতা :১২ বছরের মেয়েকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করেছে বাবা। ব্যাপারটা জানতে পেরে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন মা, কিন্তু ততদিনে নাবালিকা মেয়ে ২৮ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা! মেয়ের গর্ভপাতের অনুমতি চেয়ে এ বার গুজরাট হাইকোর্টের দ্বারস্থ মা। ভদোদরার সরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে মঙ্গলবারই ১২ বছরের ধর্ষিতার শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করে বুধবারের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে আদালত।নাবালিকার আইনজীবী জানিয়েছেন, বাবার লালসার শিকার হয়েছে বাচ্চা মেয়েটি। জানতে পেরে গত ২ সেপ্টেম্বর এফআইআর দায়ের করেন মা, তখনই বাচ্চাটির মেডিক্যাল চেকআপ হয়। তাতে জানা যায়, মেয়েটির ২৮ মাসের গর্ভাবস্থা চলছে। ২০২১ সালের ‘মেডিক্যাল টার্মিনেশন অফ প্রেগনেন্সি’ সংশোধনী আইন অনুযায়ী, ধর্ষিতাদের ২৪ সপ্তাহ পর্যন্ত গর্ভপাত আইনসিদ্ধ। এক্ষেত্রে বাবার ধর্ষণের শিকার বাচ্চা মেয়েটির গর্ভপাতের আর্জি নিয়ে তড়িঘড়ি গুজরাট হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মা। যেহেতু গর্ভাবস্থা অনেকটাই অ্যাডভান্স স্টেজের, তাই আর্জিটি দ্রুত শুনানির আবেদন করেন নাবালিকার আইনজীবী।সোমবার বিচারপতি সমীর দাভে ভদোদরার ‘স্যর সায়াজিরাও গায়কোয়াড় জেনারেল হাসপাতাল’-এর মেডিক্যাল অফিসার এবং মেডিক্যাল সুপারকে নির্দেশ দেন মঙ্গলবারের মধ্যে চিকিৎসক প্যানেল দিয়ে নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষা করাতে হবে। এত অ্যাডভান্স স্টেজে গর্ভপাত কতটা ঝুঁকির, তা খতিয়ে দেখবে প্যানেল। বুধবারের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে।সেই সঙ্গে স্থানীয় থানার ইনস্পেক্টরকে আদালতের নির্দেশ, নর্মদা জেলার জনজাতি অধ্যুষিত দেদিয়াপাড়ার বাসিন্দা ওই নাবালিকাকে পুলিশি প্রহরা দিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে এবং পুরো পরিস্থিতি যথাযথ ভাবে সামলাতে হবে।সম্প্রতি দেহগাম শহরের ১৬ বছরের একটি মেয়েও ২৮ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় গর্ভপাতের আর্জি নিয়ে গুজরাট হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। সেক্ষেত্রেও গান্ধীনগর সিভিল হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারকে নাবালিকার শারীরিক অবস্থা পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। শুক্রবারের মধ্যে সেই মেডিক্যাল রিপোর্ট হাইকোর্টে জমা দিতে বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্তের বক্তব্যও শুনতে চেয়েছে আদালত।ক’দিন আগেই পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুরের ১৩ বছরের এক ধর্ষিতা ২৬ সপ্তাহে গর্ভপাতের আবেদন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য নাবালিকাকে এসএসকেএম হাসপাতালে আনার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।