ভোটের আবহে উত্তরপ্রদেশে কোভিড বিধি শিকেয় উঠল, ২৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

উত্তরপ্রদেশ: কড়া নজরদারিতে ভোট করানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কমিশন। প্রচারেও প্রার্থী এবং জমায়েতের সংখ্যা বেঁধে দিয়েছে। কিন্তু ভোটের আবহে তপ্ত উত্তরপ্রদেশে কোভিড বিধি কার্যতই শিকেয় উঠল। শুক্রবার লখনউয়ে সমাজবাদী পার্টির দফতরের সামনে যোগদান অনুষ্ঠানে বাঁধ ভাঙল উচ্ছ্বাস। মাস্ক তো দূরের কথা, কার্যত একে অপরের ঘাড়ে উঠে ‘গণতন্ত্রের উৎসব’-এ সামিল হতে দেখা গেল হাজার হাজার মানুষকে। গোটা ঘটনায় মোট ২ হাজার ৫০০ জনের মহামারি আইনে মামলা দায়ের হয়েছে।

    শুক্রবারের ঘটনায় সমাজবাদী পার্টির নেতা-কর্মী-সহ অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে লখনউ পুলিশ। ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন, মহামারি আইনের ১৪৪, ২৬৯, ২৭০, ৩৪১,১৮৮ ধারা এবং বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের ৫৪ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে সকলের বিরুদ্ধে। একই সঙ্গে নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গের অভিযোগ দায়ের হয়েছে সমাজবাদী পার্টির বেশ কয়েক জন নেতার বিরুদ্ধে।

    বিজেপি এবং যোগী আদিত্যনাথের মন্ত্রিসভা ছেড়ে অখিলেশের হাত ধরা স্বামী প্রসাদ মৌর্য এ দিন আনুষ্ঠানিক ভাবে এসপি-তে যোগ দেন। তাঁরই সঙ্গে বিজেপি-র বিদ্রোহী নেতা ধর্ম সিংহ সাইনি, ভগবতী সাগর, বিনয় শাক্য, রোশন লাল বর্মা, মুকেশ বর্মা এবং ব্রজেশকুমার প্রজাপতি এ দিন এসপি-তে যোগ দেন। তাতেই উচ্ছ্বাসের বাঁধ ভেঙে পড়ে।

    এ দিনের ঘটনায় লখনউয়ের জেলাশাসক অভিষেক প্রকাশ জানিয়েছেন, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে প্রশাসন। কোভিড বিধি ভঙ্গ এবং নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গের মামলা দায়ের হয়েছে। লখনউয়ের পুলিশ কমিশনার ডিকে ঠাকুর জানিয়েছেন, অনুষ্ঠানস্থলের ভিডিয়ো ফুটেজ হাতে এসেছে তাঁদের। তা দেখে অভিযুক্তদের শনাক্ত করে, সকলের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।

    যোগদানের যে অনুষ্ঠান ঘিরে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়, তার জন্য আগে থেকে অনুমতিও নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয় প্রশাসনের। যদিও এসপি নেতা নরেশ উত্তম পটেলের দাবি, দলের সদর দফতরের বাইরে ভার্চুয়ালযোগদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। দলের তরফে কাউকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। মানুষই জানতে পেরে ছুটে এসেছেন। দলের নেতা-কর্মীরা বরং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি।