নির্বাচনের দিন ঘোষনা হবার পর থেকেই শিলিগুড়িতে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে

শিলিগুড়ি: নির্বাচনের দিন ঘোষনা হবার পর থেকেই শিলিগুড়িতে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে উঠেছে।তৃনমুলের প্রার্থী ঘোষনা কেবলমাত্র সময়ের অপেক্ষা,আর এখানেই উঠছে কথা,কিভাবে শিলিগুড়ি পুরসভা দখল করতে পারবে তৃণমূল কংগ্রেস,গৌতম দেব এবং পাপিয়া ঘোষ যতই মুখে একসাথে কাজ করবার কথা বলুন না কেন,ভীতরে ভীতরে কেউ যে কাউকে বিশ্বাস করতে পারছেন না এটাও জেনে গেছেন সবাই,তৃনমুলের কর্মীরাও দ্বিধাগ্রস্ত কি করবেন,সন্ধায় তৃণমূলের অফিসগুলিতে একই আলোচনা কে দাড়াচ্ছেন তাদের ওয়ার্ড থেকে,এক তৃণমূল কর্মীর অভিযোগ এটা হতই না যদি বিজয়ীদের আগের থেকেই নিশ্চিত করে দেওয়া হত যে তাদের টিকিট নিশ্চিত।তবে এতটা অনিশ্চয়তা আসত না,তবে তৃণমূলের অন্দরে একটাই আলোচনা এত রেসারেসি নিয়ে কিভাবে দখল করা যাবে শিলিগুড়ি পুরসভা,তৃনমুলের জেলা নেতৃত্ব এবিষয়ে কোন কথা না বললেও তাদের হাতে যে কিছুই নেই তা বোঝা গেছে আকারে ইঙ্গিতে।

    পিকে দুদিন আগে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন শিলিগুড়িতে কেউ নিশ্চিত নন টিকিট পাওয়ার ব্যাপারে,আর এখানেই কথা উঠেছে চেয়ারম্যান এর টিকিট পাওয়া নিয়েও।যেখানে চেয়ারম্যান নিশ্চিত নন সেখানে অন্য কেউ কিভাবে নিশ্চিত হবেন।তবুও জানা গেছে শিলিগুড়ির একজন মহিলা কোয়ার্ডিনেটার এবং দুজন পুরুষ কাউন্সিলার টিকিট পাচ্ছেন তা একপ্রকার নিশ্চিত।তবে চুড়ান্ত ঘোষনার জন্য অপেক্ষায় আছেন সবাই,বার বার ব্যার্থ হয়ে একেবারেই খাদের কিনারায় দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেস।এবারে না জীততে পারলে তা যে একেবারে খাদে পড়ে যাবেন এটাও জানেন তৃণমূলের দার্জিলিং জেলার নেতৃত্ব।

    শিলিগুড়ির মানুষের কাছে এখন সব দলই সমান জানালেন শিলিগুড়ির এক বর্ষীয়ান সাহিত্যিক,তিনি জানালেন প্রতিবারই বঞ্চিত আমরা তাই শিলিগুড়ির নির্বাচন আমাদের আকৃষ্ট করে না,যেই জীতুক মানুষের জন্য কাজ করলেই আমরা শিলিগুড়িবাসী খুশি হব।