সাড়ে পাঁচটা বঙ্গোপসাগরীয় খাঁড়ির উত্তর পশ্চিম আর অন্ধ্রপ্রদেশ , ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের দিকে এগোতে থাকছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:- অশনি সাইক্লোন রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটা বঙ্গোপসাগরীয় খাঁড়ির উত্তর পশ্চিম আর অন্ধ্রপ্রদেশ , ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের দিকে এগোতে থাকছে৷ আর এটা গভীর সাইক্লোনে রূপান্তরিত হয়েছে৷ ভারতীয় মৌসম বিভাগ তাজা আপডেট অনুযায়ি এই সাইক্লোন উত্তর পশ্চিমের IMD অনুযায়ি অশনি সাইক্লোন এই মুহূর্তে ৭৩০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে৷ নিকোবর থেকে ৮৭০ কিলোমিটার দূরে, বিশাখাপত্তনম থেকে ৫৫০ , এবং পুরী থেকে ৬৮০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে৷ ১০ মে রাত অবধি উত্তরপশ্চিম দিকে অন্ধ্র ও ওড়িশার দিকে এগোতে থাকবে৷ Photo Courtesy – IMD/ প্রাইভেট আবহাওয়া এজেন্সি স্কাইমেট অনুযায়ি ক্যাটাগরি ১ লেভেলের ভীষণ সাইক্লোন হয়ে গেছে অশনি৷ ১১০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতির থেকে শুরু করে ১৪০ কিলোমিটার হাওয়ার গতির দিকে এগোচ্ছে৷ মঙ্গলবার সকালে নিজের চরমে পৌঁছবে৷ তবে অতি ভীষণ সাইক্লোন হওয়ার সম্ভবন স্কাইমেট অনুযায়ি সাইক্লোনের ভয়ানক রূপ অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলেক কাছে আশঙ্কা আছে৷ তবে এখনও অবধি আবহাওয়াবিদরা আশা রাখছেন কোনও জায়গাতেই এই সাইক্লোনের ল্যান্ডফল হবে না৷ ৯ থেকে ১১ মে মধ্যে উপকূলবর্তী তটভূমিতে তুফানি হাওয়া দেবে৷ প্রবল বৃষ্টিপাত হবে৷ পাশাপাশি অশনি নিয়ে আইএমডি জানিয়েছে বুধবার থেকে ধীরে ধীরে এই ভয়ানক সাইক্লোন আস্তে আস্তে শক্তি হারাতে শুরু করবে৷ আস্তে আস্তে তা অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে৷ আইএমডি প্রধান মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র বলেছেন সাইক্লোন পূর্ব উপকূলের সমান্তরালে চলবে৷ ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশে

    অন্ধ্র ও ওড়িশার সমান্তরালে যেতে পশ্চিমবঙ্গের বঙ্গোপসাগরের খাঁড়িতে এবং উত্তর মধ্য অংশে এগোবে৷ পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের উপকূল অংশে দুর্বল হয়ে পড়েবে৷ উত্তর থেকে আসা ঠাণ্ডা ধারা, জমির শুষ্ক আবহাওয়া এবং অপেক্ষাকৃত কম গরম সমুদ্রের তলে এর প্রভাব কম হবে।অশনির কারণে ওড়িশাতে হাই অ্যালার্ট দেওয়া হয়ে গেছে৷ বুধবার ৬৪ থেকে ১১৫ মিলিমিটার অবধি বৃষ্টি হবে৷ মঙ্গলবার গজপতি, গঞ্জাম, পুরী জেলায় প্রবল বৃষ্টি হবে৷ ১০ মে ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় ঝোড়ো হাওয়া বইবে৷ ১১ মে অবধি এই স্থিতি থাকবে৷ ওড়িশায় ইতিমধ্যেই বিশেষ সর্তকতা দল মোতায়েন হয়ে গেছে৷ অশনি সাইক্লোন পুরীর সবচেয়ে কাছ দিয়ে অর্থাৎ ১০০ কিলোমিটার দূর দিয়ে বয়ে যাবে৷ ওড়িিশার ১৮ জেলা থেকে প্রয়োজন হলে ৭.৫ লক্ষ মানুষকে সরানো হবে৷