জলঢাকা জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসে হাতি

নিজস্ব প্রতিবেদক:- রবিবার ভোর রাতে একটি বুনো দাঁতাল হাতি হামলা চালিয়ে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার নাগরাকাটা (Nagrakata) ব্লকের সুখানী বস্তিতে গুড়িয়ে দিল একটি দোকানঘর। যদিও প্রানে বেচে যান দোকানের মালিক। বুনো দাঁতাল হাতিটি সেই দোকানে মজুত থাকা চাল, ডাল সহ অন্যান্য আনাজপাতি খেয়ে নেন। পর পর দুইদিন ঐ দোকানে হামলা চালানোর ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।এই দাঁতাল হাতিটি গত শনিবার রাতেও ঐ দোকানে হামলা চালিয়ে চাল ডাল খেয়ে নষ্ট করে গিয়েছিল। এদিন ভোররাত তিনটা নাগাদ ফের জলঢাকা জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এসে তিনটা থেকে চারটা পর্যন্ত কুমারী প্রধানের গালামালের দোকানে এক ঘণ্টা প্রায় তাণ্ডব চালায় হাতিটি। প্রসঙ্গত গতবছর কুমারী প্রধান দেবি রাতে এক প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে  নিজের বাড়ি আসার পথে বুনো হাতির হামলায় তাঁর বা হাতটি অচল হয়ে গিয়েছিল, সেই আতঙ্ক এখনো তাঁর কাটেনি, এরমধ্যে পর পর দুবার হাতির হামলায় ফের আতঙ্ক গ্রাস করেছে কুমারী দেবিকে।এর আগে কিছুদিন আগে সাতসকালে হাতির হামলা ঝাড়গ্রামে (Jhargram Elephant Attack)। তাতে মৃত্যু বেঘোরে প্রাণ গিয়েছিল এক মহিলার। শুঁড়ে পাকিয়ে তুলে ধরে তাঁকে হাতিটি আছাড় মারে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। প্রশ্ন উঠছে বন দফতরের (Forest Department) ভূমিকা নিয়েও।ঝাড়গ্রাম জেলার ঝাড়গ্রাম ব্লকের পুকুরিয়া বিটেরি অন্তর্গত সাপধরা গ্রামের ঘটনা। শনিবার সকালে সেখানে এমএসকে স্কুলের সামনে হাতির মুখে পড়ে যান মিনি খিলাড়ি নামের ওই মহিলা। তাতেই শুঁড় দিয়ে পাকিয়ে তুলে ওই মহিলাকে হাতিটি আছাড় মারে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।মাটিতে আছড়ে পড়ে গুরুতর জখম হন ওই মহিলা। স্থানীয়রা ছুটে গিয়ে কোও রকমে হাতির সামনে থেকে তাঁকে উদ্ধার করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তড়িঘড়ি ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানেই মৃত্যু হয় ওই মহিলার।