ঝাড়ু হাতে জেলাশাসক সহ পাঁচ মন্ত্রীকে দেখা গেল গঙ্গাসাগরের মেলায়

বাবলু হাসান লস্কর, গঙ্গাসাগর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা : নির্মল স্বচ্ছ বাংলার লক্ষে এমনই উদ্যোগ গ্রহণ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশক্রমে একাধিক মন্ত্রীরা। গঙ্গাসাগরে আসা পূর্ণ্যার্থীদের সমুদ্র তটে ফেলে যাওয়া বজ্র পদার্থ গুলি ঝাড়ুহাতে সাফাই সহ নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন একাধিক মন্ত্রী সহ প্রশাসনিক আধিকারিকগণ। ঝাড়ু হাতে সাপাই অভিযানে দেখা গেল মন্ত্রী বঙ্কিম চন্দ্র হাজরা,শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়, অরূপ বিশ্বাস, সুজিত বসু, ইন্দ্রনীল সেন পুলক রায় জেলাশাসক সুমিত গুপ্তাকেও। আনুষ্ঠানিকভাবে রবিবার গঙ্গাসাগর মেলা শেষ হওয়ায়,সোমবার সকাল থেকে পাঁচ মন্ত্রীসহ একাধিক আধিকারিক নেমে পড়েন সাফাই অভিযানে। স্বচ্ছ ভারত মিশনে একাধিক আধিকারিককে ঝাড়ু হাতে দেখতে পাওয়ায় উজ্জীবিত মানুষজন। আনুষ্ঠানিকভাবে ১২ই জানুয়ারি শুরু হয়েছিল গঙ্গাসাগর মেলা। বিগত দুই বছর করোনা নামক মারণ ব্যাধির কারণে মেলা তেমন না জমলেও এ বছর মেলায় সমস্ত আয়োজনের খামতি রাখেনি রাজ্য সরকার। ২০২৩ সালের ১২ জানুয়ারি গঙ্গাসাগর মেলা পবিত্র মন্ত্রের মাধ্যম দিয়ে মেলার উদ্বোধন হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেভাগে সাগর মেলার তটে এসেছিলেন আর সেখানেই তিনি প্রশাসনিক বৈঠক করার পর সমস্ত রকমের ব্যবস্থা গ্রহণ করে জেলা প্রশাসন। এ বছরে একাধিক মন্ত্রী সহ বিধায়কদেরকে দায়িত্ব দেন মুখ্যমন্ত্রী।আর তারাই সদা-সর্বদা গঙ্গাসাগরে থেকে তদারকি করেছেন সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করায়। পঞ্চাশ লক্ষের বেশি ভক্তের সমাগম হলেও কোন রকমের বিপদের ঘটনা না ঘটায় মুখ্যমন্ত্রী সকলকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। ভারতবর্ষের মধ্যে সর্ববৃহৎ এই মুহূর্তের গঙ্গাসাগরের পূর্ণতটে গঙ্গাসাগরের মেলা। সব সাগর বারবার গঙ্গাসাগর একবার কথায় থাকলেও এই মুহূর্তে সব তীর্থ একবার গঙ্গাসাগর বার বার।