|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : চুল ব্যবসায় আর্থিক বিবাদ। তার জেরে অপহরণ করা হয় বিশ্বভারতীর বিদেশি পড়ুয়াকে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তালসারি থেকে উদ্ধার অপহৃত পড়ুয়াও।
সংস্কৃত নিয়ে গবেষণা করতেন মায়ানমার থেকে আসা বিশ্বভারতীর ছাত্রটি। তাঁকেই তাঁর ভাড়াবাড়ি থেকে দিনেদুপুরে তুলে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। মায়ানমার থেকে ১০ বছর আগেই শান্তিনিকেতনে আসেন প্যানচারা থাই। ২০২২ সালে গবেষণাপত্র জমা দিয়েছিলেন তিনি। ২০২৪ সাল পর্যন্ত তাঁর ভিসার মেয়াদ রয়েছে এদেশে। হস্টেল না পাওয়ায় বোলপুর পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের অভিজাত ইন্দিরাপল্লিতে একটি ভাড়াবাড়িতে থেকেই তিনি পড়াশোনা করতেন।পুলিশ সূত্রে খবর, অপহৃত মায়ানমারের ছাত্র চুলের ব্যবসা করতেন। পূর্ব মেদিনীপুরের এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল তাঁর। ৫০ লক্ষ টাকা নিয়ে সেই ব্যবসায়ীর সঙ্গে বচসা বাঁধে। অপহরণের ছক কষে ওই ব্যবসায়ী। দুবরাজপুরের বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে। তারাই বিশ্বভারতীয় পড়ুয়াকে অপহরণ করে।
এই ঘটনায় পুলিশ ১২ জনকে গ্রেপ্তার করে। দুবরাজপুরের তিনজন, নানুরের একজন এবং পূর্ব মেদিনীপুরের আট জন। ধৃতদের মধ্যে আজারুদ্দিন মির্ধা, শেখ আলাউদ্দিন ও আতাউল্লা শেখকে শনিবার বোলপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। বীরভূম জেলার পুলিশ সুপার রাজ নারায়ণ মুখোপাধ্যায় বলেন, উদ্ধার করা হয়েছে বিশ্বভারতীর গবেষক ছাত্রকে। ওড়িশার তালসারি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে তাঁকে। নিখোঁজ ছাত্রের ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। দুটি চার চাকা গাড়িও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়েই সমস্যা তৈরি হওয়ায় ছাত্রকে অপহরণ করা হয় বলে প্রাথমিক জানা গিয়েছে। তবে ব্যবসার সঙ্গে কোন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই ছাত্রটিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।