ঘুমপাড়ানি গুলির পরে খাঁচাবন্দি পূর্ণাঙ্গ মাদি রয়াল বেঙ্গল টাইগার

বাবলু হাসান লস্কর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা : খাঁচায়-বাঘ-বন্দি করতে পারায় স্বস্তির নিঃশ্বাস বনদপ্তরের কর্মীদের সাথে এলাকাবাসী। সুন্দরবন লাগোয়া কুলতলির বিভিন্ন প্রান্তে বাঘবন্দির লুকোচুরি খেলা বেশ কয়েকদিন ধরে চলছিল। দীর্ঘ ছয় দিন ধরে বাঘে-মানুষে লুকোচুরিতে ব্যতিব্যস্ত কুলতলির বেশ কয়েক টি অঞ্চলের মানুষ জন। অবশেষে গতকাল বনদপ্তর এর প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কর্মী নুরুলের ছোড়া ঘুমপাড়ানি গুলিতে ঘায়েল হল পুরুষ বাঘটি। প্রথমে জল বোমা পরে ঘুমের গুলি তার পর বাঘ টিকে খাঁচায় মধ্যে খাবার দিয়ে বোটে নিয়ে সুন্দরবনের বনি ক্যাম্পে পশু চিকিত্সকের তত্ত্বাবধানে রাখা। আজ ফিটনেস সার্টিফিকেট মিললেই গভীর অরণ্য ছেড়ে দেয়া হবে। আর এই বাঘটিকে ধরতে DFO মিলন কান্তি মন্ডল ও ADFO অনুরাগ চৌধুরী প্রতিটি মুহূর্তেই বন কর্মীদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন । ছয় দিন ধরে ব্যতিব্যস্ত করা পূর্ণাঙ্গ রয়েল বেঙ্গল টাইগার ধরা পড়ায় এলাকাবাসী স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করেছে, প্রতিটি মুহূর্তে মাইকিং করেন কুলতলী থানার আধিকারিক। অপরদিকে এলাকায় ১৪৪ জারি করার পরেও হাজার হাজার মানুষের জমায়েত বাঘ ধরতে অনেকটা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল বনকর্মীদের সাথে প্রশাসনের আধিকারিকদের।
স্থানীয় বিধায়ক গনেশ চন্দ্র মন্ডল এলাকাবাসীদের বিশেষ বার্তা দিয়েছেন। যেকোন মুহূর্তে বাঘের আক্রমনে মানুষ জন ক্ষতিগ্রস্ত হতেই পারে তার জন্য তিনি যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন। তার পরে ও দুই জন চোট পায় তাদের চিকিৎসা র ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন বিধায়ক নিজে । আর এই বাঘটি ধরা পড়ায় তিনি জানালেন সত্যিই এলাকাবাসী স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে এবং স্বস্তিতে ঘুমাতেই পারবে,বাঘের আতঙ্ক কেটেছে। অপরদিকে এই মুহুর্তে আনন্দে মাতছেন কচিকাঁচা থেকে পূর্ণবয়স্করা।কুলতলিতে বনদপ্তরের কয়েকশ কর্মীদের ঘুম কেড়েছিল সুন্দরবনের গভীর অরণ্যো থেকে আসা, রয়েল বেঙ্গল টাইগার। প্রতিনিয়ত কিলোমিটার পর কিলোমিটার বাঘ খুঁজতে খুঁজতে নাজেহাল বনদপ্তরের কর্মীরা। বেশ কয়েকটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহ একাধিক কর্মীরা। এমনিভাবে সপ্তাহের অধিকাংশ দিনে চলছে বাঘে মানুষে লুকোচুরি। গোপালগঞ্জ এলাকা থেকে আবার বাঘ চলে এসেছিল পিয়ালী জঙ্গলে বেশ কয়েক কিলোমিটার কুলতলিতে প্রতিনিয়ত বনদপ্তরের ঊর্ধ্বতন আধিকারিক থেকে নিচু স্তরের কর্মীদের সাথে সাথে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও স্থানীয় বাসিন্দাদের রাতের ঘুম কেড়েছিল। এলাকার মানুষজন দক্ষিণ রায়ের দেখায় অস্বস্তিতে,যে কোন মুহূর্তে তাদের গৃহপালিত পশু কিংবা নিজেদের ঘাড়ে হালুম করে পড়তে পারে। সুন্দরবন থেকে আসা পূর্ণাঙ্গ রয়েল বেঙ্গল টাইগার ধরা পড়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস এলাকাবাসীর।