অন্ন চাই,প্রাণ চাই,চাই মুক্ত বায়ূ" এই অঙ্গীকারকে পাথেয় করে মেঝিয়ারী সতীশচন্দ্র স্মৃতি উচ্চবিদ্যালয়ের 'মধ্যাহ্ন-কালীন ভোজন-গৃহে'র শুভ-উদ্বোধন

রাহুল রায়, নতনু গতি, পূর্ব বর্ধমানঃ “অন্ন চাই,প্রাণ চাই,চাই মুক্ত বায়ূ” এই অঙ্গীকারকে পাথেয় করে মেঝিয়ারী সতীশচন্দ্র স্মৃতি উচ্চবিদ্যালয়ের ‘মধ্যাহ্ন-কালীন ভোজন-গৃহে’র শুভ-উদ্বোধন ঘটলো।
ভারতীয় সংবিধান দিবসের স্নিগ্ধ সকালে মেঝিয়ারী সতীশচন্দ্র স্মৃতি উচ্চবিদ্যালয় এক আবেগি-অনুষ্ঠানের সাজে সেজে ওঠে ।
বিদ্যালয় প্রাঙ্গণের সভামঞ্চ সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য হয়ে যায়, ‘চাঁদের হাট’। কাটোয়া 2নং পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী মাননীয়া নিষাদ সামন্ত,পূর্ত-কর্মাধ্যক্ষ সুব্রত মজুমদার সহ বিশিষ্ট সমাজসেবী পিন্টু মন্ডল ও তাঁর অনুগামীদের উপস্থিতিতে সভামঞ্চের সৌকর্ষ বৃদ্ধি পায়।বিদ্যালয়ের সম্মানীয় সভাপতি মহাবিষ্ণু শর্মা-মন্ডলের সাথে প্রধান শিক্ষক মাননীয় সুকান্ত কর্মকার মহাশয়ের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে পরিচ্ছন্ন-পরিবেশ এবং আহারের আবশ্যিতা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। বিদ্যালয়ের মননশীল সহকারী-প্রধান শিক্ষকের প্রত্যুৎপন্নমতি মানসিকতা আর পরিচালন কমিটির সদস্য বিবেকানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশুদ্ধ আবেগ অনুষ্ঠানের উৎকর্ষতাকে আরও বাড়িয়ে দেয়।
ঘড়ির কাঁটা এগারো’টা ছোঁয়ার সাথে সাথে মধ্যাহ্নকালীন-ভোজন কক্ষের পুষ্প-শোভিত দ্বারে সবুজ ফিতেয় সৌহার্দ্যের কাঁচি চালানোর সাথে সাথে করতালিতে মুখরিত হয়ে ওঠে বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গন; ছাত্র-ছাত্রী’দের সমবেত সঙ্গীতের স্রোত-ধারায় ভেসে যায় সংকীর্ণ মনের প্রাচীর। সবকিছু মিলে আজকের শুভদিনে মেঝিয়ারী সতীশচন্দ্র স্মৃতি উচ্চবিদ্যালয় কিছু- ক্ষনের জন্য মহামিলনের কেন্দ্র-স্থল হয়ে ওঠে।