বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্যের পৌরোহিত্যে শাক্ত মতে পূজিতা হলেন মা শ্যামা, সম্পন্ন হলো রাধানগর কালী মন্দির শুদ্ধিকরণ

শরিফুল ইসলাম, নতুন গতি, শান্তিপুরশান্তিপুর রাধানগর পাড়া বারোয়ারি কালীমন্দির পুজো কমিটির ব্যবস্থাপনায় বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য্য’র পৌরোহিত্যে শ্যামামায়ের পুজো সম্পন্নের মধ্য দিয়ে আরাধ্য দেবী ও মন্দিরের শুদ্ধিকরণ সম্পূর্ণ হলো।
আজ, মঙ্গলবার, শান্তিপুর পৌরসভার অন্তর্গত ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের রাধানগর কালিমাতা মন্দির কমিটির উদ্যোগে এবং এলাকার অজস্র বিভিন্ন মতাবলম্বী মানুষের উপস্থিতির মধ্যে বিধায়ক অরিন্দমের হাতে শাক্ত মতে পূজিতা হলেন শ্যামা মা । অভিষেক, চন্ডীপাঠ এবং অত্যাবশ্যকীয় আচার-বিধি মেনে দোষণ মুক্ত হলো মায়ের মন্দির ।
উল্লেখ্য, এ-বৎসর কালিপুজোর দিন অজ্ঞাত পরিচয় কিছু দুষ্কৃতী উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতি নষ্টের উদ্দেশ্যে রাধানগর পাড়ার শ্যামা মায়ের মন্দিরে গভীর রাতে মন্দির অপবিত্র করনের কাজ করে চলে যায়। স্বাভাবিক ভাবেই হিন্দু ভাবাবেগ আহত হয়।
খবরটি প্রকাশিত হবার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনের নেতৃত্বে তদন্ত শুরু হয় এবং দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি তোলেন হিন্দু-মুসলিম একযোগে সকল শান্তিপুরবাসী।
মূলত মধ্যবিত্ত সহজ -সরলমনা ও সনাতনী মতাদর্শে বিশ্বাসী স্থানীয় অধিবাসীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। সেই সুযোগে কিছু সুযোগ সন্ধানী প্ররোচনাসৃষ্টি করে রাজনৈতিক স্বার্থ-সিদ্ধি করতে এগিয়ে আসেন।
শান্তিপুরের বিধায়ক বিষয়টির প্রাসঙ্গিকতা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে এলাকার পুজো কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং মন্দির শুদ্ধিকরণ-এর বিষয়ে তৎপর হোন।
 
ভারতীয় ব্রাহ্মণ সমাজের বিশেষ প্রতিনিধি তথা শান্তিপুরের বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলাপ আলোচনা ও রীতিনীতি মেনে আজ মঙ্গলবার, অমাবশ্যা-তিথিতিতে এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে মাতৃ-আরাধনায় ব্রতী হয়ে শ্যামা-মন্দির বিশুদ্ধি করনের বিষয়টি সুন্দর ভাবে নিষ্পত্তি করলেন।
উদ্যোক্তা রাধানগর বারোয়ারী পুজোকমিটির সদস্যরা পুজো শেষে মায়ের ভোগ বিতরণ করেন। পুজো উপলক্ষ্যে স্থানীয় ও আশপাশের অঞ্চল থেকে আগত মানুষের উৎসাহ-উদ্দীপনা ছিল চোখে পড়ার মতন।
হিন্দু-মুসলিম শান্তি-সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সহাবস্থানের নজির সৃষ্ঠীকারী ঐতিহ্যের শহর শান্তিপুরের গরিমা অক্ষুন্ন রাখতে বিধায়কের এই প্রয়াসে দৃশ্যত খুশি শান্তিপুরের অধিকাংশই।