ছাগলকে কেন্দ্র করে একেবারে তুমুল মারপিট বীরভূমে

নিজস্ব সংবাদদাতা : রাজনৈতিক ক্ষমতা দখল। কিংবা বুথ দখল! কোনওটাই নয়। বিবাদের কেন্দ্রে একটি ছাগল। আর তা নিয়েই একেবারে তুমুল মারপিট বীরভূমে। অনুব্রত মণ্ডলের খাসতালুকে এই ঘটনাকে ঘিরে একেবারে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। রবিবার বিকেলের ঘটনা। একাধিকজন আহতও হয়েছেন। সব থেকে বড় কথা ছাগল নিয়ে বিবাদ। আর সেই বিবাদের সঙ্গে লেগে গেল রাজনীতির রঙ। বীরভূমের সাঁইথিয়ার দেরপুর গ্রামের ঘটনা।আসলে ছাগলটির মালিক একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত। আবার ছাগলটি যে জমির বেগুনের চারা খেয়ে নিয়েছিল সেটার মালিক আবার অন্য রাজনৈতিক দলের কর্মী। প্রথমে এটা নিয়ে গ্রাম্য বিবাদ হয়েছিল। এরপর সেই বিবাদেই রাজনীতির রঙ চড়ানো হয়। শুরু হয় চরম মারপিট।

     

    এক পক্ষের দাবি, এর পেছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে। ষড়যন্ত্র করেই ছাগল দিয়ে বেগুন গাছ খাওয়ানো হয়েছে। অপর পক্ষের দাবি, পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে। দুপক্ষের মধ্য়ে লাঠালাঠিও শুরু হয়ে গিয়েছিল। লোকজন এসে কোনওরকমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গ্রামের লোকজন এলে বিষয়টি মিটমাট করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তারাও পারেননি। মারধরের জেরে দুজন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্য়ে একজন মহিলাকে সাঁইথিয়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।তবে বীরভূমে রাজনৈতিক অশান্তি নতুন কিছু নয়। প্রতিবার ভোটের আগে তপ্ত হত বীরভূম। এবারও তার অন্যথা হয়নি। বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দাপটে কার্যত গুটিয়ে থাকতেন বিরোধীরা। চড়াম-চড়াম, গুড় বাতাসার দাওয়াইয়ের কথা বলতেন কেষ্ট মণ্ডল। তবে গরু পাচার মামলায় বর্তমানে তিনি জেলে। সেই দাপট কিছুটা হলেও কমেছে বীরভূমে। তবে রাজনৈতিক সংঘর্ষ পুরোপুরি কমেছে এমনটা নয়।

     

    তবে এবার ছাগল নিয়ে গ্রাম্য বিবাদেও লেগে যাচ্ছে রাজনীতির রঙ। কিন্তু যদি অনুব্রত মণ্ডল জেলায় থাকতেন তবে সেই দুষ্ট ছাগলের জন্য় তিনি ঠিক কী শাস্তির ব্যবস্থা করতেন, মোটের উপর গোটা বিষয়টিকে ঠিক কীভাবে তিনি ম্যানেজ করতেন সেটা আর দেখা হয়ে উঠল না বীরভূমবাসীর।