গলসিতে চাষিদের সাথে কারখানার কতৃপক্ষের ঝামেলা, বন্ধ নির্মাণ কাজ

আজিজুর রহমান, গলসি : গলসিতে চাষিদের সাথে কারখানার কতৃপক্ষের ঝামেলার জেরে বন্ধ হয়ে গেল কারখানার সীমানা পাঁচিল নির্মানের কাজ। ঘটনার জেরে তুমুল উত্তেজনার সৃষ্ট হয়। চাষিদের অভিযোগ, এলাকায় কারখানা করার জন্য কৃষি জমি ক্রয় করেছে একটি বেসরকারি সংস্থা। তারা তিনফুট ছেড়ে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করছেন। সামনের দিকটা ঘিরে দেবার ফলে চাষিদের জলসেচ ব্যবস্থা ও মাঠে কৃষি যন্ত্রাংশ ঢোকার রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবে। যার জেরে দীর্ঘ মেয়াদী সমস্যায় পরতে চলছেন তারা। চাষি মহাদেব রায়, রনজিত রায় বলেন, বিষয়টি নিয়ে তারা কয়েকদিন ধরে কতৃপক্ষের কাছে আবেদন জানালে তাদের কথা শুনছে না কতৃপক্ষ। তাছাড়াও বিষয়টি নিয়ে নিয়ে তারা গলসি ১ নম্বর বিডিও অফিস ও স্থানীয় উচ্চগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতে লিখিত আবেদন করেছেন। এদিকে চাষিদের সাথে কোন আলোচনা না করে হঠাৎ কাজ শুরু করে কতৃপক্ষ। এদিন মাঠে এসে সীমানা প্রাচীর নির্মান শুরু করায় ক্ষোভে ফেটে পরেন চাষিরা। দুপুর নাগাদ ঘটনাস্থলে কয়েকজন চাষি এসে নির্মান কাজ বন্ধ করতে বললে ঘটনা ঘিরে বচসায় জড়িয়ে পরে দুইপক্ষ। ঘটনা ঘিরে তুমুল উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। একপ্রস্থ হাতাহাতিতে জড়িয়ে যাবার উপক্রম। তবে ততক্ষণে ঘটনাস্থলে চলে আসে গলসি থানার পুলিশ। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে দুইপক্ষকে শান্ত করেন। পাশাপাশি কারাখানা লাগোয়া মাঠ ঘুরে দেখে পুলিশ। চাষি বাসুদেব রায় বলেন, কারখানার মধ্যখানে তাদের কয়েকজনের ধানজমি রয়েছে। তাছাড়াও কারখানার পূর্ব ও দক্ষিণ দিকে তাদের বেশকিছু কৃষি জমি আছে। তাদের দাবী, পাঁচিল দিয়ে ঘিরে ফেলার আগে ওই জমিগুলিতে সেচের জল ও কৃষি যন্ত্রাংশ ঢোকানোর ব্যবস্থা করে কাজ করুক কারখানা কতৃপক্ষ। তবে কতৃপক্ষের সাইড ইনচার্জ অচিন্ত্য দাঁ বলেন, তারা জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েতের কাছে অনুমিত নিয়ে তিনফুট ছেড়ে কাজ শুরু করেছেন। এখন পাঁচিল নির্মানে বাধা দিচ্ছে গুটি কতক চাষি। তার দাবী, ওই চাষিগুলি তাদেরকে জমি বিক্রি করতে এসেছিলেন। কিছু জমির কাগজের ত্রুটি ও কিছু জমির ওয়ারিশন ঝামেলা থাকায় তারা কিনতে পারেনি। তিনি বলেন, এখানে একটি ইথানল তৈরির কারখানা করা হচ্ছে। সেই মতো চাষিদের থেকেই জমি ক্রয় করা হয়েছে। তিনি বলেন, একে তো রাজ্যে শিল্প হচ্ছে না। আবার এখানে শিল্প হলেও কয়েকজন চাষি এসে ঝামেলা করছে। তবে সমগ্র চাষিদের কিছু সমস্যা হলে তারা অবশ্যই সমাধান করবেন। মাঠে ঢোকার রাস্তার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাদের যনি জমি কিনে দিয়েছেন। তিনি তিন চারশো মিটার দুরে জিও পাম্পের পাশ দিয়ে মাঠে ঢোকার একটি বারো ফুটের রাস্তা ছেড়েছেন। স্থানীয় উচ্চগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মনসা বাউরী বলেন, হ্যাপি নিবাস প্রাইভেট লিমিটেড তাদের কাছে অনুমতি নিয়ে কাজ শুরু করেছে। আজকে শুনলাম গলিগ্রামে কারখানা কতৃপক্ষের সাথে চাষিদের একটি ঝামেলা হয়েছে। বিষয়টি আমি আমার উদ্ধোতন কতৃপক্ষকে জানবো। তাছাড়াও উভয়পক্ষের সাথে বসে যাতে সমস্যার সমাধান হয় তারজন্য সবরকম চেষ্টা  করবো।