গলসিতে সড়ক সম্প্রাসারনে কাটা হয়েছে দুইদিকের ফুটপাত, ঝুঁকিতে জনজীবন

আজিজুর রহমান,গলসি : গলসিতে জাতীয় সড়ক সম্প্রাসারনের জন্য কাটা হয়েছে দুইদিকের ফুটপাত। ফলে ঝুঁকিতে পরেছে জনজীবন। নিত্যদিন প্রান হাতে নিয়ে সড়কের উপরে দিয়ে যাতাযাত করতে হচ্ছে স্থানীয় মানুষরা। জানা গেছে, কয়েক মাস পূর্ব থেকেই ২নং জাতীয় সড়ক সম্প্রাসারনের কাজ শুরু হয়েছে। চার লেন থেকে ছয় লেন করা হচ্ছে সড়ক। যার জন্য রাস্তার দুই দিকের মাটি কেটে নিচুর স্তর বের করা হয়েছে। নিচু জায়গায় ফ্লাইআঁশ, মাটি ও মোরাম দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে।  ফলে রাস্তার দুই ধারে যাতায়াতের ফুটপাত বন্ধ হয়ে গেছে। এমন অবস্থায় নিত্যদিন ঝুঁকি নিয়ে যাতাযাত করছেন সাইকেল চালক, টোটো চালক থেকে আরোহী ও শ্রমিকরা। স্থানীয় সাইকেল আরোহী দিনু বাগদি পরেশ মেটেরা বলেন, তাঁরা একটি রাইসমিলে কাজ করেন। প্রতিদিন সকালে তাদের সাইকেল নিয়ে কাজে যাতায়াত করতে হয়। এরফলে যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে তারা স্বীকার করেন। তারা জানাই, ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি থেকে না বের হলে উপার্জন বন্ধ হবে। কাজ না করলে তাদের সংসার চলবে না। তাই পেটের টানে তাদের মত শতশত মানুষকে সড়কের পিচের উপরে ঝুঁকি নিয়ে যেতে হচ্ছে। তাদের দাবী কয়েকমাস ধরে সড়ক তৈরীর হচ্ছে। মানু‌ষের সমস্যার কথা ভেবে ঠিকা সংস্থার উচিত সড়কের একদিক একদিক করে কাজ করা। একসাথে দুইদিনের কাজ শুরু করায় তারা বিপদে পরেছেন। স্থানীয় টোটো চালক দেবাশিষ দে বলেন, দুর্ঘটনার ভয়ে আমরা জাতীয় সড়কে টোটো নিয়ে কখনই যেতে চায় না। তবে এলাকার প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি ২ জাতীয় সড়কের ধারে পুরসাতে অবস্থিত। সেটা কম বেশি দুই তিন কিমি পথ। কেউ অসুস্থ হলে টোটো নিয়ে জাতীয় সড়কে ধরে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হচ্ছে। কখনও কখনও সেখান থেকে রোগীকে গলসিতে বিভিন্ন পরীক্ষা করতে নিয়ে যেতে হচ্ছে। কতৃপক্ষ যদি বিষয়টি ভেবে একদিকের ফুটপাতে কাটতো তাহলে আমরা অন্যদিক দিয়ে যাতায়াত করতে পারতাম। এখন বিরাট সমস্যায় পরেছেন, এলাকার স্কুল পড়ুয়া, শ্রমিক, চাষি থেকে বহু সাধারণ মানুষ। তার দাবী, জাতীয় সড়কের ধারে সেচ ক্যানেল গুলির বাঁধ ছাড়াও বিভিন্ন বিকল্প রাস্তা আছে। সেগুলি চলার অযোগ্য হয়ে গেছে। সরকার বা ঠিকা সংস্থা যদি ওই রাস্তা গুলি মেরামত করে দিত তাহলে তাদের সকলের সুবিধা হত। এই বিষয়ে ঠিকা সংস্থার এক আধিকারিককে ফোন করা হলে, তিনি কোন উত্তর দিতে চাননি। তবে আইএনটিটিইউসি পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি, অভিজিৎ ঘটক বলেন, মানুষ দাবী যেটা করছেন সেটা সত্যিই দেখা উচিত। আমরা আমাদের মত করে কথা বলে দেখছি কতটা কি করা যায়। যাতে মানুষের সুবিধা হয় সেটি নিয়ে তিনি যথাযথ ভাবে চেষ্টা করবেন।