|
---|
সরকারি নির্দেশ- জানুয়ারী থেকে বন্ধ হয়ে যাবে মানুষের হাতে থাকা কয়েক হাজার এই মোবাইল ফোনগুলি!
নতুন গতি প্রতিবেদক : বর্তমান যুগে স্মার্টফোন হলো সব থেকে বড় হাতিয়ার । এই স্মার্টফোনের মাধ্যমে আমরা পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তের মানুষের সাথে সহজেই যোগাযোগ রাখতে পারি, এর পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া যা স্মার্ট ফোন ছাড়া প্রায় অচল সেই সোশ্যাল মিডিয়াতে নিজের প্রতিভা ছড়িয়ে দিতে পারি সর্বত্র । কিন্তু এবার হয়তো বন্ধ হতে চলেছে সব কিছু । কারণ এবার সমস্ত স্মার্ট ফোন বন্ধ করার পরিকল্পনা নিচ্ছে বিটিআরসি ।
এ ব্যাপারে এ বিটিআরসি চেয়ারম্যান জানান, ২০১৮, ২০১৯ এবং ২০২০ সালের অগাস্ট নাগাদ মোট ১১ কোটি ৮২ লাখ ২৩ হাজার ৭৬৩টি আইএমইআই নম্বর ডেটাবেইজে যুক্ত করা হয়েছে। মোবাইল ফোন আমদানিকারক, অপারেটর ও দেশে হ্যান্ডসেট প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে তথ্য নিয়ে এ ডেটাবেইজ তৈরি করা হয়েছে। বিদেশ থেকে মোবাইল আনলে তার জন্য লাগবে জরুরি নথিপিত্র ।
এর পাশাপাশি ২০১৯ এর আগে কেনা মোবাইল গুলিকে পুনরায় তালিকা ভুক্ত করার একটি সুযোগ দেওয়া হবে ।২০১২ সালে উদ্যোগ নেওয়ার প্রায় ৮ বছর পর এই প্রযুক্তি বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। বিটিআরসি চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলেন, “অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেট বন্ধ করতে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) প্রযুক্তি সরবরাহ ও পরিচালনার দরপত্র প্রক্রিয়া প্রায় শেষের দিকে। আগামী বছর শুরু থেকে এ প্রযুক্তি বাস্তবায়ন শুরু হবে।
”সরকারি কোনো পরিসংখ্যান না থাকলেও ব্যবসায়ীদের হিসাবে, দেশে বর্তমানে প্রায় তিন কোটি অবৈ-ধ হ্যান্ডসেট মানুষের হাতে রয়েছে।নকল মোবাইল সেট বৈধের সুযোগ, অবৈধ আমদানি, চুরি, স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও নকল হ্যান্ডসেট প্রতিরোধ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত, রাজস্ব ক্ষতি ঠেকাতে এই পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়ে আসছে বিটিআরসি।
নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, অপারেটররা তাদের লাইসেন্স নীতিমালা অনুযায়ী সব মোবাইল হ্যান্ডসেটের ইএমআই নম্বর দিয়ে এই ডেটাবেইজ তৈরি করবে।ইএমআই নম্বর হল ১৫ ডিজিটের একটি স্বতন্ত্র সংখ্যা, যা বৈধ মোবাইল ফোনে থাকে। একটি মোবাইল ফোনের কি-প্যাডে *#06# পরপর চাপলে ওই মোবাইল ফোনের বিশেষ এই শনাক্তকরণ নম্বরটি পর্দায় ভেসে উঠে।
গ্রাহকের হাতে যেসব নকল বা অবৈধ হ্যান্ডসেট রয়েছে, এই প্রক্রিয়া শুরু করার ছয় মাস পর্যন্ত নির্দিষ্ট সিমে তা চালু রাখার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছিল। অর্থাৎ যে সিমে মোবাইল চালু থাকবে সেই সিমের মাধ্যমেই তা নিবন্ধিত ধরে নেওয়া হবে। ছয় মাস পর কোনো নকল, অবৈধভাবে আমদানি করা বা ক্লোন হ্যান্ডসেটে সিম কাজ করবে না । অতএব নকল ও অবৈধ ক্লোন হ্যান্ডসেট আর বাজারে চলবে না ।