|
---|
মহ: নাজিম আক্তার, নতুন গতি, মালদহ : বুধবার নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকে পালন করা হলো শষ্ঠ তম কন্যাশ্রী দিবস ।এদিন উপস্থিত ছিলেন হরিশ্চন্দ্রপুর- ১ নং ব্লকের বিডিও অনির্বাণ বসু ও জয়েন্ট বিডিও মধুরিমা চক্রবর্তী সহ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কোয়েল দাস, পশ্চিমবঙ্গের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের ভাইস চেয়ারম্যান তজমূল হোসেন ও ব্লকের সমস্ত বিভাগের কর্মাধ্যক্ষ ও ব্লক কর্মীরা ।কন্যাশ্রী দিবসে অংশ গ্রহণ করেছিলেন হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের সমস্ত স্কুলের প্রায় পাঁচ শতাধিক কন্যাশ্রী মেয়েরা।
বিডিও অনির্বাণ বসু জানান,’ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অন্যতম সফল প্রকল্পের নাম কন্যাশ্রী । মেয়েদের স্বাবলম্বী করার উদ্দেশ্যেই শুরু হয় এই প্রকল্পের । টাকার অভাবে গরিব ঘরের মেয়েদের লেখাপড়া বন্ধ হওয়ার যে সমস্যা, তাতে লাগাম টানতে এই প্রকল্প । ১৮ বছরের নীচে মেয়েদের বিয়ের বিরুদ্ধে এই প্রকল্প তৈরি হয় । লক্ষ লক্ষ মেয়েরা উপকৃত হয়েছে সরকারি এই প্রকল্পের ফলে । সরকারি অনুদানে মেয়েরা এগিয়ে যাচ্ছে নিজেদের সাফল্যের পথে । এরফলে রাজ্যে পড়ুয়াদের মধ্যে স্কুলছুটের প্রবণতা কমেছে । রাজ্যের গণ্ডি পেরিয়ে দেশের মধ্যেও সাড়া ফেলেছে কন্যাশ্রী । যেমন জনপ্রিয়, তেমনই কার্যকরী এই প্রকল্প ।
মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের এই প্রকল্পে প্রায় ৬০ লক্ষ কন্যা সন্তান কন্যাশ্রীর আওতায় নথিভুক্ত হয়েছে ।
প্রান্তিক গ্রাম থেকে কলকাতা, কন্যাশ্রীর সুবিধা পাচ্ছে লক্ষ লক্ষ মেয়ে । কন্যাশ্রী উত্সাহ যোগাচ্ছে এদের সকলকেই । শুধু দেশেই নয়, বিশ্ব সেরার সম্মান পেয়েছে কন্যাশ্রী প্রকল্প ।
নেদারল্যান্ডের দ্য হেগ শহরে ইউনিসেফের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন দফতর আয়োজিত ‘গার্ল সামিট’-এ সেরা নির্বাচিত হয়েছে কন্যাশ্রী । প্রায় ৬৩টি দেশের ৫৫২টি প্রকল্পকে পিছনে ফেলে সেরার শিরোপা অর্জন করেছে এই প্রকল্প ।প্রতিবছর ১৪ই অগস্ট কন্যাশ্রী দিবস । কন্যা সন্তানের উন্নতিতে তৈরি এই প্রকল্পে গর্বিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।
হরিশ্চন্দ্রপুর – ১ নং ব্লকের হরিশ্চন্দ্রপুর চক্রের কিরণ বালা বালিকা বিদ্যাশ্রম, ভিঙ্গল উচ্চ বিদ্যালয় ও কনুয়া হাই মাদ্রাসা এবং তুলসীহাটা চক্রের মাখন উচ্চ বিদ্যালয়, চন্ডিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও পেমাভক্তি পুর হাই মাদ্রাসাকে বেস্ট কন্যাশ্রী স্কুল বলে ঘোষণা করেন বিডিও অনির্বাণ বসু এবং স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ব্লক আধিকারিকরা।অনুষ্ঠানটি সঞ্চালোকের ভূমিকায় ছিলেন ব্লক ডিএলটি আব্দুর সাত্তার ।সহযোগিতায় ছিলেন ব্লক কন্যাশ্রী নোডাল পিন্টু দাস সহ সুশান্ত পাল, রেজাউল ইসলাম রাজি ও সাইদুল ইসলাম প্রভৃতি ব্লক কর্মীরা ।স্বেচ্ছাসেবকের ভূমিকায় ছিলেন মহ : সামিম, , সফিকুল আলম ও মানওয়ারুল ইসলাম ।