দেশজুড়ে আনলক প্রক্রিয়া শুরু হলেও সতর্ক মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর প্রশাসন

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক,মালদা; ১ জুলাই: প্রায় তিনমাস হয়ে গেলো করোনা মহামারীর প্রকোপে দেশজুড়ে লকডাউন চলছে। আনলক টু এ খুলে গেছে অনেক কিছু,আসতে আসতে মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাইরে বেরোনো শুরু করেছে। কিন্তু এই মহামারীর আবহে আমাদের সুরক্ষিত রাখতে যারা ফ্রন্টলাইনে থেকে লড়ে যাচ্ছেন তারা হলেন আমাদের দেশের স্বাস্থ্যকর্মী এবং পুলিশকর্মীরা। আমরা দেশজুড়ে দেখেছি পুলিশকর্মীরা কিভাবে এই মহামারীর অবহে নিজেদের জীবনবাজি রেখে কর্তব্যে অবিচল থেকেছেন,ব্যতিক্রম নয় মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানাও।

    মহামারীর আবহে প্রথম থেকেই হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ যেমন নিজেদের দায়িত্ব পালন করে গেছেন তেমনিই আবার বিভিন্নভাবে দাড়িয়েছেন অসহায়,দুস্থ মানুষদের পাশে।কখনো দুস্থদের মুখে তুলে দিয়েছেন খাওয়ার আবার কখনো মৃত গরিব অটোচালকের অসহায় পরিবারের পাশে গিয়ে দাড়িয়েছেন হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশরা।এই মহামারীর আবহে মানবিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তারা।

    কিন্তু মানুষের জন্য লড়তে গিয়ে,মানুষের পাশে থাকতে গিয়ে এবার করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়লেন হরিশ্চন্দ্রপুর থানার দুই পুলিশ কর্মী এবং একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার। গতকাল তাদের রিপোর্ট পজিটিভ আসে।আর তারপরেই আজ মানুষকে সচেতন করতে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাসের নেতৃত্বে পথে নামলেন হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বিভিন্ন এলাকাতে আজ সারাদিন ব্যাপী সচেতনতা মূলক প্রচার চালালেন হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ কর্তা রা। মানুষকে তারা বারবার অনুরোধ করেন বাইরে বেরোলে মানুষ যাতে মাস্ক পরে বাইরে বেরোয় এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলে।

    এ প্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাস বলেন হরিশ্চন্দ্রপুরের বিভিন্ন প্রান্তে এখনো এক,দুজন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তেই আছে,কাল আমাদের দুজন পুলিশ এবং একজন সিভিকও আক্রান্ত হয়েছেন। এরকম পরিস্থিতে আনলক পিরিয়ডে মানুষ যাতে কোনো ভাবেই মাস্ক ছাড়া বাইরে না বেরোয় সেই উদ্দেশ্যেই সচেতনতামূলক প্রচার চালাচ্ছি কিন্তু তার পরেও মানুষ না শুনলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।