রেশনে গরীব পরিবারকে ৩৫ কেজি চাল ও পরিযায়ী শ্রমিকদের ৭ হাজার টাকা বরাদ্দ সহ একাধিক দাবিতে প্রতিবাদ সভা হরিশ্চন্দ্রপুর,২১ এপ্রিল,মহ: নাজিম আক্তার

 

    হরিশ্চন্দ্রপুর,২১ এপ্রিল,মহ:নাজিম আক্তার :দেশজুড়ে চলছে দ্বিতীয় দফায় ২১ দিনের লকডাউন। করোনা ভাইরাস সারা বিশ্ব জুড়ে মহামারী আকার ধারন করেছে। এই মহামারী থেকে বাদ পরেনি ভারতবর্ষও।কাজ হারিয়ে মানুষ কর্মহীন।সব থেকে বড় সমস্যায় পরেছে দিনমজুরেরা।ভিন রাজ্যে আটকে রয়েছে হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিক। অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটালেও অভাবের তাড়নায় অনেক শ্রমিক আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে।এই সংকটময় পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকার করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় কাজ করে গেলেও তা সন্তুষ্টজনক নয় বলে দাবি সিপিআইএম সমর্থীত সংগঠনগুলির।তাই দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে প্রতিবাদ সভা। তাদের কথা ভাষণ নয় রেশন দিতে হবে, সরকারি স্থায়ী বা অস্থায়ী কর্মী বা শ্রমিক ছাটায় নয় কাজ দিতে হবে, শিঘ্রই পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরানোর ব্যস্থা করতে হবে, কৃষকদের ফসল ন্যায্যমূল্যে ক্রয় করতে হবে, পরিযায়ী শ্রমিক সহ সমস্ত গরিব পরিবারকে ৩৫ কেজি চাল ও কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে অবিলম্বে ৭ হাজার টাকা বরাদ্দ করতে হবে একাধিক দাবিসমূহ নিয়ে সারা ভারতবর্ষের ন্যায় হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের সিপিআইএম সমর্থীত সংগঠন CITU, AIKS, SFI ও DYFI এর উদ্যোগে মঙ্গলবার বিকেলে হরিশ্চন্দ্রপুরের ভবানীপুর ব্রিজ মোড়ে শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব মেনে শান্তি শৃঙ্খল‌ ভাবে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    এদিন এই প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন সিটু’র মালদা জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য কমরেড মহম্মদ আসলাম,এআইকেএস এর জেলা কাউন্সিলের সদস্য কমরেড মর্তুজা আলম ও হরিশ্চন্দ্র পুর-১ নং ব্লকের ডিওয়াইএফআই এর সহ সম্পাদক কমরেড প্রবিন কুমার দাস সহ আরো স্থানীয় নেতারা।

    আসলাম জানান রাজ্য সহ সার দেশ জুড়ে এখনো পর্যন্ত কতগুলি করোনা আক্রান্ত তার সঠিক তথ্য দেশ বাসীকে জানাতে হবে। অভুক্ত মানুষদের তিন বেলা আহারের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে কিট এর ব্যবস্থা করতে হবে।গরীব পরিবার গুলিকে প্রতি মাসে ৩৫ কেজি রেশনের ব্যবস্থা করে দিতে হবে।পরিযায়ী শ্রমিকদের ৭ হাজার টাকা বরাদ্দ করতে হবে।

    তিনি আরো জানান যতদিন না সরকার দেশ বাসীর সার্থে এই দাবিগুলি মানছে ততদিন পর্যন্ত এই আন্দোলন সারা দেশ জুড়ে জারি থাকবে।